ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সুন্দরবনের কাঠপাচার পুরোপুরি বন্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
সুন্দরবনের কাঠপাচার পুরোপুরি বন্ধ

খুলনা: সুন্দরবন থেকে অবৈধ কাঠপাচার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো। তিনি বলেন, ১০ বছর আগেও সুন্দরবন থেকে অবৈধ কাঠপাচার হতো।

কিন্তু এখন অবৈধ কাঠ পাচার পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টাকা দিয়েও সুন্দরী গাছের কাঠ পাওয়া যাবে না। কেউ বলতে পারবেন না খুলনা, মোংলা বা সাতক্ষীরায় কিংবা সারা দেশের কোথাও সুন্দরী বা পশুর কাঠ কিনতে পারবেন।

সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও সুন্দরবনের জন্য প্রস্তুতকৃত খসড়া কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা (এসইএ) প্রতিবেদন এবং কৌশলগত পরিবেশ ব্যবস্থাপনা (এসইএমপি) বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন খুলনা অঞ্চলের এই বন সংরক্ষক।

মিহির কুমার দো আরও বলেন, সুন্দরবন সম্পর্কে সবসময় নেতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। কিন্তু সুন্দরবনের অনেক পজেটিভ বিষয় রয়েছে, যা আমাদের অগোচরে থেকে যাচ্ছে। বিশ্ব ঐহিত্য সুন্দরবন টিকিয়ে রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সুন্দরবনের ওপর উপকূলীয় ৩০ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে। ২০১৪ সালে একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার ডুবে তেল ছড়িয়ে পড়েছিল সুন্দরবনের নদীতে, এতে জীববৈচিত্র্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। বিষয়টি বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়েছিল। বিষয়টি ইউনেস্কোর নজরে আসে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ভবিষ্যতে যাতে টিকে থাকে সে লক্ষে ইউনেস্কো একটি দিকনির্দেশনা দেয়, যার আলোকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও সুন্দরবনের জন্য প্রস্তুতকৃত খসড়া কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা প্রতিবেদন এবং কৌশলগত পরিবেশ ব্যবস্থাপনা নেওয়া হচ্ছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, এসইএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জহির ইকবাল। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাবেক উপ প্রধান বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানে সভাপতি ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করলে শুধু মাছ মরে না, এতে জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে আমি একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছি পশ্চিম বন বিভাগে। সুন্দরবনে যারা জীবিকা নির্বাহ করে তাদের সম্পৃক্ত করে এক মাস আগে এ প্রকল্প শুরু করেছি। এছাড়া সুন্দরবনের নদী ও খালে বিষ প্রয়োগে মাছ ধরা বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বনবিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।