ঢাকা: একদিনের জন্য প্রতীকীভাবে বাংলাদেশে সুইডেন রাষ্ট্রদূতের পদ গ্রহণ করে ধলপুরে শিশু ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করে চলা কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক রুনা। পদগ্রহণকালে তার দাবি, দেশের সব স্তরের সব কিশোরী ও তরুণী যেন পায় সমান অধিকার, সমান সুযোগ।
সোমবার (১১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত এ পদ গ্রহণ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাটির ‘গার্লস টেকওভার’ নামক এক বিশেষ বৈশ্বিক কর্মসূচির অংশ।
প্রতি বছর বাংলাদেশসহ সাড়া বিশ্বজুড়ে ‘মেয়ে আমি সমানে সমান’ ক্যাম্পেইনের আওতায় এ আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো কিশোরী ও তরুণীদের সক্ষমতা তৈরি ও নেতৃত্ব বিকাশে বিশ্বব্যাপী আওয়াজ তোলা।
এ বছর প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ পুরো মাস জুড়েই প্রায় ৭০টি টেকওভারের আয়োজন করেছে যেখানে রুনার মতো দেশের নানা প্রান্তের মেয়েরা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সরকারি-নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদ একদিনের জন্য প্রতীকীভাবে গ্রহণ করবে। সর্বত্র কিশোরী ও তরুণীদের স্বাধীনতা, সমতা এবং সমান উপস্থাপন নিশ্চিতে জোরালো আওয়াজ তোলার লক্ষ্যে এ আয়োজন।
একদিনের জন্য ঢাকার সুইডিশ রাষ্ট্রদূত পদে প্রতীকী দায়িত্ব পালন করে রুনা তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানায়, আমাদের কমিউনিটিতে মেয়েরা অধিকাংশ সময়ই বুঝতে পারে না তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে তারা কতদূর পৌঁছাতে সক্ষম। তারাও পারে নেতৃত্ব পর্যায়ে পৌঁছে সমাজে পরিবর্তন আনতে। আজ একজন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার মধ্যে এমন আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে আমি নেতৃত্বের দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম। আমার মতো অন্যান্য কিশোরীদেরও ক্ষমতায়নে অনুপ্রেরণা দিতে পারবো, তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে, বিশেষ করে এই বছরের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী প্রযুক্তিগত শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করতে পারবো।
রুনা তার কমিউনিটির যুবদলেরও একজন সদস্য। এ দলের সঙ্গে সে তার কমিউনিটির শিশুদের শিক্ষা এবং কিশোরী ও তরুণীদের অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধেও কাজ করে।
জেন্ডার সমতা, নারী ও মানবাধিকার প্রচারের লক্ষ্যে সুইডেনের নারীবাদী কূটনৈতিক নীতিমালা অনুযায়ী দেশটির বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাস এ গার্লস টেকওভার কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে বলেন, এ আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবসে আমরা মেয়েদের ক্ষমতা ও যোগ্যতাকে উদযাপন করছি, সেই সঙ্গে সব বাধা ভেঙে চ্যালেঞ্জ করছি সমাজে প্রচলিত সব চিরাচরিত প্রথাকে, দাবি জানাচ্ছি পরিবর্তনের। কিন্তু আমাদের বিদ্যমান সংকটকেও চিহ্নিত করতে হবে। বাস্তবে এবং অনলাইনে- মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেকোন ঘটনার প্রথম শিকার হয় মেয়েরাই। বয়স এবং জেন্ডারের কারণে তারা দ্বিগুন বৈষম্যের শিকার হয়। একদিনের জন্য রাষ্ট্রদূতের এই প্রতীকী দায়িত্ব গ্রহণ মেয়েদের কণ্ঠ আজ ও আগামীতে সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা প্রকাশের অন্যতম উপায়।
আরও পড়ুন>>
>> সোমবার সুইডিশ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব কিশোরী রুনার!
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
টিআর/আরআইএস