ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

থলেডটকম, উইকুমডটকমের ৬ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
থলেডটকম, উইকুমডটকমের ৬ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘থলেডটকম’ ও ‘উইকুমডটকম’ এর ৬ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমান হোসেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- হেড অব অপারেশন মো. নজরুল ইসলাম, একাউন্ট অফিসার মো. সোহেল হোসেন (২৭), ডিজিটাল কমিউনিকেশন অফিসার মো. তারেক মাহমুদ অনিক (২৮), সেলস এক্সিকিউটিভ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন ওরফে পিয়াস (২৭), কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ অফিসার মুন্না পারভেজ (২৬) ও সুপার ভাইজার মো. মাসুম হাসান (২৭)।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, থলেডটকম ও উইকুমডটকমের অফিস তল্লাশি করে অফিস ভাড়ার চুক্তিপত্র, গন্তব্য লজিস্টিকস সার্ভিস লিমিটেড এজেন্ট সংক্রান্ত চুক্তিপত্র, জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট চুক্তি সংক্রান্ত চুক্তিপত্রসহ বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, গ্রহকদের কাছ থেকে চেক রিসিভ ইনফরমেশন সিপিইউ, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিন, রেজিষ্টার, টাকা গণনার মেশিন জব্দ করা হয়।

এই প্রতিষ্ঠান দু’টির কোনো প্রকার অনুমোদন ও লাইসেন্স নেই। কম মূল্যে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল ও ইলেট্রিক পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে গ্রাহকদের টাকা। এছাড়াও ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরহরাহ করবে বলে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হতো। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করেনি তারা।

এ বিষয়ে ডিআইজি ইমান হোসেন বলেন, 'থলেডটকম' ও 'উইকুমডটকমে'র বিভিন্ন পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তাররা কম মূল্যে বিভিন্ন পণ্য দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আলাদা আলাদা ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিতো। ভুক্তভোগীরা বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে যোগাযোগ করার পরে জানতে পারে, টাকা পরিশোধ করলে ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করবে। পরে ভুক্তভোগীরা প্রস্তাবে রাজি হয়ে বিভিন্ন তারিখে চেকের মাধ্যমে ও নগদ প্রায় আড়াই কোটি টাকা দেয় তাদের। কিন্তু টাকা পাওয়ার পর ৫০ দিন পার হলেও ভুক্তভোগীদের কাছে কোনও পণ্য সরবরাহ না করে অপেক্ষা করতে বলে।

ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী খায়রুল আলম মীর তাদের অফিসে গেলে তারা বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন অংকের টাকার চেক দেয়। চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে একাউন্টে কোনো টাকা নেই বলে জানায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও জানান, দিনের পর দিন প্রতিষ্ঠানটি এভাবে হাজার হাজার লোকের কাছ থেকে মিথ্যা ও চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
এসজেএ/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।