কুমিল্লা: কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘীরপাড়ের পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগে সৃষ্ট উত্তেজনা ও সব ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ (এসপি) সুপার মো. ফারুক আহমেদ। আরও ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বর্তমানে কুমিল্লার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করে সম্মেলনে ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমরা ইমামদের নিয়ে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে গিয়েছি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বলেছি— আপনারা নিশ্চিন্তে পূজা উদযাপন করুন। সবার মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষায় শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজের খুতবায় বয়ান করবেন খতিবরা। ঘটনায় জড়িতদের নামে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে নিরীহ কাউকে হয়রানি করা হবে না।
ডিসি আরও বলেন, কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব চলছে। ফেসবুকে কিছু ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে, যেগুলো কুমিল্লার নয়। ঘটনার পর সবার একসঙ্গে কাজ করায় পরিস্থিতি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
সম্মেলনে এসপি ফারুক আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে প্রথম যিনি ভিডিও ধারণ এবং ফেসবুকে ভাইরাল করেছেন, সেই ফয়েজ আহমেদকে আমরা গ্রেফতার করেছি। বৃহস্পতিবার জেলা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ফয়েজের বাড়ি কুমিল্লার সদরে। তবে প্রতিটি ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) নানুয়ার দিঘীরপাড়ের পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে কুমিল্লা নগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
** কুমিল্লার ঘটনায় গ্রেফতার ৪১
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২১
এসআরএস