ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঠিকাদারদের অনুপস্থিতিতে ও গোপন লটারির মাধ্যমে পছন্দের তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে এলজিইডি কার্যালয়ে দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করে।
রোববার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ পরিস্থিতি বিরাজ করে কার্যালয় জুড়ে।
এ সময় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলাম ও কাজপ্রত্যাশী ঠিকাদারদের সঙ্গে চরম বাদানুবাদ হয়। গোপন লটারিতে কাজ পাইয়ের দেওয়ার ঘটনায় সব ঠিকাদারদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত নির্বাহী প্রকৌশলী গোপন লটারিতে পাওয়া কাজগুলো বাতিল করে পুনরায় লটারি গ্রহণের ঘোষণা দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অভ্যন্তরে বিভিন্ন সড়ক সংঙ্কারের জন্য ৩৬টি দরপত্রের আহ্বান করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় এলজিইডির সভাকক্ষে ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে প্রতিটি লটারির মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার কথা। অথচ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলাম সকালে অফিসে এসে কম্পিউটার অপারেটর তরিকুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ৩৬টির মধ্যে তিনটি কাজ গোপন লটারির মাধ্যমে তিনটি পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেন।
একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, ৩৬টি কাজের দরপত্র রোববার বিকেলে লটারির মাধ্যমে ঘোষণা দেওয়ার কথা নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়। অথচ নির্বাহী প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলাম ও কম্পিউটার অপারেটর তরিকুল ইসলামের যোগসাজশে তাদের পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ থেকে সুবিধা নিয়ে সকাল ১১টায় সদরের তিনটি কাজ গোপন লটারির মাধ্যমে দিয়ে দেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী সব ঠিকাদার এলজিইডি ভবনে উপস্থিত হন। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী ও কম্পিউটার অপারেটর অফিসে উপস্থিত ছিলেন না। বিকেলে লটারির সময় নির্বাহী প্রকৌশলী উপস্থিত হলে বিক্ষুদ্ধ সব ঠিকাদারের চাপে পড়ে তিনটি কাজ পুনরায় লটারির মাধ্যমে করার জন্য লিখিতভাবে চিঠি জারি করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলাম এ বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গোপন লটারিকৃত বাকি তিনটি কাজের পুনরায় লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২১
আরএ