কুমিল্লা: কুমিল্লার ঘটনায় মসজিদ-মণ্ডপের দায়িত্বশীল কেউ সম্পৃক্ত আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান জানান, প্রথমে ইকবাল-ইকরামকে গুরুত্ব দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এ ঘটনায় রিমান্ডে থাকা চারজনকেই ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইকবালকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে আনা হয়, সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি।
এর আগে, জড়িত সন্দেহে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দেওয়া সিসিটিভি ফুটেজের প্রথম অংশে মসজিদে ফয়সাল ও হুমায়ুনের সঙ্গে ইকবালকে দেখা যায়। ফুটেজের শেষাংশে দেখা যায় ৯৯৯-এ কল করা ইকরামকে। ইকবাল ছাড়া বাকি তিনজনের কেউ এখনো মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেনি।
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ের একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলে কোরআন শরিফ পাওয়ার ঘটনায় সারাদেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
>>> কুমিল্লায় সহিংসতার ঘটনায় নতুন মামলা
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
এনটি