নীলফামারী: রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কর্ণফুলী আবাসিক হোটেল থেকে আদনান সাকিব নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সাকিবের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা থানার উত্তর সোনাখুলী গ্রামে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ৪টায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ থাকায় তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। এরপর পুলিশ ফোন নাম্বার ট্র্যাকিং করে হোটেল থেকে সাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ট্রাকিং করে অবস্থান জেনে কর্ণফুলী আবাসিক হোটেলের ১০৭ নম্বর কক্ষে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করলেও সে দরজা খুলেনি। পরে দরজা ভেঙে দেখি তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে।
এদিকে মরদেহের পাশ থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। সাকিব সুইসাইড নোটে লিখেছে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তিনি স্ত্রীকে ভালো বলে গেছেন। তার স্ত্রীকে দোষারোপ না করার কথা লিখেছেন। সুইসাইড নোটে ১২ বছরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সাকিব মঙ্গলবার উঠেন হোটেল। নীলফামারি থেকে ঢাকায় পরীক্ষা দিতে এসেছেন বলে জানিয়েছিল সাকিব।
নিহত সাকিব আদনানের চাচা আব্দুল হামিদ আজাদ বলেন, গত রাতে আমরা খবর পাই, তার অসুস্থ্য হওয়ার কথা। পরে জানা যায় সে মারা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের পরীক্ষার্থী সে। তার স্ত্রী তৃষা কলেজে পড়াশোনা করেন। সম্পর্ক করে তারা দেড় বছর আগে বিয়ে করেন। তার স্ত্রীর বাড়ি রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ এলাকায়। সর্বশেষ সে ১৫দিন আগে বাড়িতে এসে আবার ঢাকায় যান।
ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, তিন ছেলের মধ্যে সাকিব সবার ছোট। ঢাকায় পড়াশোনাকালীন বিয়ে করেন সে। শুনেছি সে মারা গেছেন।
নিখোঁজ ঢাবি শিক্ষার্থীর লাশ আবাসিক হোটেলে
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
এনএইচআর