ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মেয়রের নামে মামলা, এলাকাছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
মেয়রের নামে মামলা, এলাকাছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরমেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে চিংড়ি ঘের দখল, ডাকাতি ও লুটপাটের মামলা করায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে এলাকাছাড়া করার অভিযোগ করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার।

বর্তমানে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পালিয়ে কক্সবাজার শহরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন এসব অভিযোগ করেন। তিনি মহেশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার।

সংবাদ সন্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন, গত ১৯ অক্টোবর রাতে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়ার নির্দেশে ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে তার পরিবারের প্রায় ৬৭ একরের চিংড়ি ঘের দখল করে নেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা চিংড়ি ঘেরে থাকা লোকজনকে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করে  ঘেরের কয়েক লাখ টাকার চিংড়ি মাছ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি আদালতের আশ্রয় নেন।  আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ২৫ অক্টোবর মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

আমজাদ হোসেন আরও অভিযোগ করেন, থানায় মামলা নেওয়ার পর থেকে মেয়র মকসুদ মিয়া ও তার লোকজনের হুমকিতে তিনি ও তার পরিবার এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার শহরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, পৌর মেয়র মকসুদ মিয়া কক্সবাজারের মহেশখালীতে আন্তর্জাতিক  যুদ্ধাপরাধী ট্রাইবুনালে দায়ের করা একমাত্র মামলার এক নম্বর আসামি মাওলানা জাকারিয়া পরিবারের সন্তান। মেয়র মকসুদ মিয়া বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য। প্রভাবশালী পরিবার হওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন তিনি।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মাসুদ কুতুবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি বশিরুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমুখ।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঘের দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র মকসুদ মিয়া বলেন, ঘেরের জায়গাটি আমাদের পরিবারের।  মূলত তিনি আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার জন্য এসব অভিযোগ তুলছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগের বিষয়ে মকসুদ মিয়া বলেন, তিনি তো এলাকাতেই থাকেন না।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।