বরিশাল: বরিশালে ভাবি রেহেনা বেগমকে পিটিয়ে জখমকরায় পাঁচ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুপারজোর এলাকার লুতফর রহমান।
তবে আদালতে জাল মেডিক্যাল সনদ দাখিল করায় বাদীর নামে মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বিচারাধীন আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় বিচার আদালতের বিচারক এস এম মাহফুজ আলম অভিযোগ দায়ের করলে আদালত সি ডব্লিউ মূলে অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
আদালত সূত্র জানায়, হাজতে যাওয়া অভিযুক্ত বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুপারজোর এলাকার জয়নাল সরদারের ছেলে লুতফর রহমান। তিনি ৪ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় বিচার আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে তিনি একই এলাকার পাঁচজনকে অভিযুক্ত দেখান।
অভিযোগে তিনি বলেন, তার ভাবি রেহেনা বেগমকে ৩০ মার্চ অভিযুক্তরা পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। অভিযোগপত্রের সঙ্গে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ডা. মাহবুবুর রহমান নামের স্বাক্ষর করা মেডিক্যাল সনদ দাখিল করেন। পুলিশ ছাড়া মেডিক্যালে থাকা ভুক্তভোগীর সনদ পাওয়ার বিধান না থাকা সত্ত্বেও বাদী সনদ দাখিল করায় আদালত রহস্য দেখতে পান।
পরে বাদী লুতফর রহমানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি নিজ হাতে এ সনদ সংগ্রহ করেছেন বলে আদালতে জবাব দেন।
ডাক্তারি সনদ যাচাই করতে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক বরাবর পাঠান আদালন। পরিচালকের নির্দেশ মতে শেবাচিম হাসপাতালের ডা. মাহবুবুর রহমান আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তিনি বলেন, যাচাই করতে পাঠানো সনদে সিল ও স্বাক্ষর তার নয়। কোনো ভিকটিমকে মেডিক্যাল সনদ দেওয়া হয় না। আইনানুসারে চিকিৎসা সনদ দাখিল করা হয়। আদালত প্রতিবেদন পেয়ে লুতফর রহমান জাল ডাক্তারি সনদ দাখিল করেছে বলে প্রমাণ পায়।
এজন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আদালতের পক্ষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাহফুজ আলম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেনাল কোডে অভিযোগ দাখিল করেন।
পরে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বিচারাধীন আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত লুতফুর রহমানকে সি ডব্লিউ মূলে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল আদালতের জি আর ও মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
এমএস/এনএইচআর