ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

করোনায় কমেছে ফুলের আবাদ

এম রবিউল ইসলাম রবি, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২১
করোনায় কমেছে ফুলের আবাদ

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার একটি গ্রাম তালিয়া। দুই বছর আগেও গ্রামের মাঠে গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরাসহ নানা জাতের ফুলের আবাদ হতো।

রঙ-বেরঙের ফুলে ছেয়ে যেতো মাঠ। কিন্তু এ বছর সেই মাঠে আবাদ করা হচ্ছে ধান, মরিচ, পটলসহ নানা জাতের সবজি। একই দৃশ্য পাশের ইকরা, গান্না গ্রামেও।

সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আর লকডাউনের কারণে গত দুই বছর উৎপাদিত ফুল বিক্রি হয়নি। চাষিরা জমিতেই কষ্টের ফসল নষ্ট হতে দেখেছেন। বারবার লোকসানে পড়ায় সবজির আবাদে ঝুঁকেছেন তারা।

বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলায় ফুলের আবাদ কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। যদিও লকডাউন শিথিল হওয়ার পর চাষিদের ফুল চাষে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ।

ছবি: বাংলানিউজ

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলচাষি ছমির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, ফুলের দাম এবারও খুব কম। এক বিঘা জমিতে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এই মুর্হূতে আর ফুল চাষ করতে পারছি না। করোনার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সরকার যদি আর্থিক সহযোগিতা করে, তাহলে আবারও ফুল চাষ করবো।

একই কথা চাষি হাফিজুর রহমানেরও। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এখানে পুরো মাঠে ফুলের আবাদ হতো। মহামারি করোনা ও লকডাউনের কারণে গত দুই বছর ফুল বিক্রি হয়নি। ফুল তো আর খাওয়ার জিনিস না। তাই বাজারে নিলে ক্রেতা পাওয়া যায় না। এজন্য অনেকে ফুল চাষ করছেন না।

ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, ২০১৯ সালে ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় ৩৮২ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছিল। ২০২০ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১৭০ হেক্টরে। এ বছর ফুলের আবাদ আরও কমে গেছে। ১৩০ হেক্টর জমিতে হয়েছে ফুলের আবাদ। সবমিলিয়ে দুই বছরে ২৫২ হেক্টর জমি কমে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২১
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।