ঢাকা: রাজধানীর রামপুরা বউবাজার এলাকায় দুর্বৃত্তের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে আহত আলমগীর হোসেন (৩২) মারা গেছেন।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম।
শুক্রবার দিনগত রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার মৃত্যু হয়।
এসআই মহিদুল ইসলাম জানান, ২৯অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বউবাজার বরফগলিতে ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে আলমগীরের অবস্থার অবনতি হলে আবারও ঢামেকের জরুরি বিভাগে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই আরও জানান, নিহত আলমগীরের দুই পায়ের হাঁটুর পিছনে ধারাল অস্ত্রের গভীর আঘাত ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত আলমগীরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. নয়ন খান বলেন, আলমগীরের বাসা রামপুরা বউবাজার আদর্শ গলিতে। তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন।
নয়ন আরও জানায়, সন্ধ্যায় বউবাজার বরফগলিতে এক যুবক আলমগীরের দুই পায়ের হাঁটুর পিছনে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আলমগীরকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বেটারলাইফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়।
আহত আলমগীরের স্ত্রী মিতু বেগম বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ কোতয়ালীর চড়শিকদার গ্রামে। তিনি আতশ আলী ছেলে। আলমগীর রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। এছাড়া সিএনজি চালিত অটোরিক্শাও চালাতো।
এদিকে আলমগীরের এক বন্ধু বলেন, আলমগীর পুলিশের সোর্সের কাজ করতো। বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী লিমন (২৮) নামের একজনকে পুলিশে ধরিয়ে দেন তিনি। ইমন গত পরশুদিন জেল থেকে ছাড়া পায়। সেই জের ধরে ইমন আলমগীরকে একা পেয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত আলমগীর সোর্সের কাজ করতো। জানতে পারছি লিমন নামে একজনকে ধরিয়ে দিয়েছিল। সেই জেল থেকে বের হয়ে আলমগীকের হত্যা করেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২১
এজেডএস/এনএইচআর