ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

গার্মেন্টস সেক্টরে অসন্তোষ কমে গেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সাভার করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২১
গার্মেন্টস সেক্টরে অসন্তোষ কমে গেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সাভার (ঢাকা): বাংলাদেশের বর্তমানের অগ্রগতিতে অনেক ধরনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। সেই অগ্রগতিতে অনেক কিছু করে ফেলার দিবা স্বপ্ন দেখা মানুষগুলোর আশায় বালি পড়েছে।

তারা যেনো নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার প্রচেষ্টা যেনো না করতে পারে সেজন্য পুলিশকে আরও সুন্দরভাবে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  

শনিবার (৩০ অক্টোবর) আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ পুলিশ লাইন্সে শিল্পাঞ্চল পুলিশের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখানে আমাদের যে অগ্রগতি আমরা যে বটমলেস বাস্কেটে একটা সম্ভাবনার দেশে পরিণত করেছি সেখানে হয়ত অনেকেরই অনেক ধরনের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। অনেকেই হয়ত দিবাস্বপ্ন দেখছিলেন হয়ত তারা অনেক কিছু করে ফেলবেন। তাদের সেই আশায় বালি পড়েছে। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার যে প্রচেষ্টা। সেগুলো চালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পুলিশকে আমরা আরও সুন্দর ভাবে সাজাচ্ছি। আমরা জোর গলায় বলতে পারি আমাদের পুলিশ অত্যন্ত দক্ষ। আমাদের পুলিশ যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে।  

তিনি বলেন, গার্মেন্টস সেক্টর আমাদের টনক নড়িয়েছে। বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্ট হচ্ছিল গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে। অনেক সময় মালিক ও শ্রমিকদের নানা ধরনের অসন্তোষ লেগেই থাকতো। সেগুলো নিরসনের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি আয়ের এই চালিকাশক্তিকে আরও জোরদার করার জন্য শিল্প পুলিশ গঠন করেছিলেন। এরফলে আজকে কিন্তু গার্মেন্টস সেক্টরে অসন্তোষ কমে গেছে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় যেমন করে আমরা শিল্পাঞ্চল পুলিশ তৈরি করেছি শিল্পাঞ্চলগুলোকে সুরক্ষিত করার জন্য। শুধু তাদের জানমাল রক্ষার জন্য সেই পুলিশ কাজ করছে না। এই পুলিশ কাজ করে মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে এবং তাদের মিলেমিশে কাজ করানোর জন্য। পাশাপাশি এলাকাগুলোকে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাখার জন্য এই শিল্পাঞ্চল পুলিশ কাজ করে থাকে। সংখ্যায় এরা কম আছে আমি মনে করি। আমাদের যেতে হবে অনেক দূরে। এজন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে কি ধরনের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে তা মাথায় রেখে কাজ করছি।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, এদেশের পুলিশ হবে জনগণের পুলিশ। আজকে কিন্তু সেই জায়গাটাতে পুলিশ আসছে। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, আন্দোলন করতাম তখন পুলিশ আসছে শুনেই পালাইতাম। আজকে সিচুয়েশন উল্টো। সবাই এখন পুলিশের কাছে যায়, আমাদের একটু সহযোগিতা করেন। এটাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।