ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে পাওয়া মরদেহ ঢামেকে নিখোঁজ রোগীর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
নারায়ণগঞ্জে পাওয়া মরদেহ ঢামেকে নিখোঁজ রোগীর ...

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ২ নম্বর রেলগেট এলাকার মোড়ে নির্মাণ করা ভাস্কর্যের নিচে পাওয়া মরদেহটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) থেকে নিখোঁজ রোগী মাইনুদ্দিনের (২৯)।

রোববার (৩১ অক্টোবর) মরদেহটি মাইনুদ্দিনের বলে শনাক্ত করেছেন তার পরিবার।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, মূলত আমরা একটি অজ্ঞাত মরদেহ পাই। পরে সেটির ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে নাম পাই মাইনুদ্দিন। তার পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছে এটি মাইনুদ্দিন। যেহেতু নাম ছাড়া অন্য কোনো পরিচয় পাইনি তাই মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন দাফন করেছে এখানকার স্থানীয় কবরস্থানে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) থেকে মাইনুদ্দিন নামে ঐ রোগী নিখোঁজ হয়েছেন। পরে রোগীর স্বজনরা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শাহবাগ থানায় পৃথক ২টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।

মাইনুদ্দিনের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে। তার বাবার নাম রবিউল হক।

রোগীর বড় ভাই জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে থানায় গিয়ে মরদেহটি শনাক্ত করেছি। হয়তো আরো আগে খবর পেলে মরদেহ আমরা নিজেরা দাফন করতে পারতাম।

তিনি জানান, মাইনুদ্দিনের বাম পা ও পশ্চাদাংশ ফুলে গিয়েছিল। ইনফেকশনের কারণে এমনটি হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ জন্য গত ২৩ অক্টোবর তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নতুন ভবনের মেডিসিন বিভাগের ৬০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডের ২৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

জামাল বলেন, মঙ্গলবার সকালে এক চিকিৎসক আমার ভাইকে ওই ভবনের ১০ তলায় নিয়ে যান কেস স্টাডির জন্য। পরে আমরা তাকে ১০ তলায় গিয়ে খুঁজে পাইনি। তখন ওই চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, রোগী ৭ তলায় চলে গেছে। পরে ৭ তলাতে গিয়েও তাকে খুঁজে পাইনি। এরপর নিরুপায় হয়ে সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় গিয়ে নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করি।

ঢামেক নতুন ভবনের ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজ বলেন, জানতে পেরেছি রোগীকে ১০ তলায় বোনমেরু বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কেস স্টাডির জন্য। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ বিষয়ে হাসপাতাল পক্ষ থেকেও শাহবাগ থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, রোগী নিখোঁজের পর থেকে হাসপাতালের আনসার, পুলিশসহ সবাই রোগীকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।