ঢাকা: বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবে মারা যাওয়া একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় এম ডি প্যারাডাইস নামে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর খাগাইন ঘাট থেকে কেরানীগঞ্জ যাওয়ার পথে একই পরিবারের ৭ জনসহ মোট ১০ যাত্রী নিয়ে বুড়িগঙ্গার মাঝ নদীতে ডুবে যায় একটি যাত্রীবাহী নৌকা।
এসময় নৌকার মাঝি হানিফসহ তিনজন সাঁতরে কুলে উঠে আসেন। তখন স্থানীয়রা ফাহিমা (৫০) ও তার নাতনী দেড় বছরের শিশু সানজিদাকে উদ্ধার করলেও তার দুই মেয়ে রেখা (২৮), শীতল (২৫), শীতলের ছেলে শফিকুল (৮) এবং রেখার মেয়ে সানজিদা (৮) পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশন ও বরিশুর নৌ-পুলিশের যৌথ অভিযানে বেলা সাড়ে ১১টায় ফাহিমার মেয়ে রেখা (২৯) ও নাতনী (রেখার মেয়ে) সানজিদার (৯) মরদেহ উদ্ধার করে। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শীতলের ছেলে শফিকুল ইসলামের (৮) মরদেহ উদ্ধার করে। এখনো পরিবারের অপর সদস্য শীতল নিখোঁজ রয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মালেক মোল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। ১০ যাত্রীর মধ্যে ৩ জন সাঁতরে এবং দুইজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। এখনো পর্যন্ত শীতল নামে এক নারী নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি হয়তো বেঁচে নেই। উদ্ধার হওয়া তিনজনের মরদেহ পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ, ফাহিমা বেগমের দুই মেয়ের একজন (রেখা) কামরাঙ্গিচরের আবু সাঈদের ভিটা এলাকায় এবং শীতল কেরানীগঞ্জের জিয়া নগর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। ফাহিমার স্বামীর নাম মজিবুর রহমান। তারা শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার বড়কান্দী ইউনিয়নের মৃধাকান্দী এলাকার বাসিন্দা। তারা কামরাঙ্গিচর থেকে ছোট মেয়ে শীতলের কেরানীগঞ্জের বাসায় যাচ্ছিলেন। ঘাতক বাল্কহেড এবং চালকসহ ৬ জনকে আটক করেছে বরিশুর নৌ ফাঁড়ি পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২১ আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা
এজেডএস/আরএ/এনটি