ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বিশ্ব বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২১
বিশ্ব বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

ঢাকা: বিশ্ব বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাবার জন্য বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সক্ষমতা তুলে ধরা হয়েছে সম্মেলনে।

বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার পর বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জনের জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। আমাদের বাণিজ্য সক্ষমতা বেড়েছে, দেশের রপ্তানি দিনদিন বাড়ছে।  

সোমবার (০১ নভেম্বর) ঢাকায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সম্মেলন কক্ষে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ডিসিসিআই যৌথভাবে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১’ শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন উপযুক্ত স্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশতটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রায় ১০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, বাকিগুলোর উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এসব ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বড় ধরনের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত।

তিনি বলেন, দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। বেসরকারি খাতও এগিয়ে এসেছে, বাংলাদেশের সক্ষমতা এখন দৃশ্যমান। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এ ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ও ট্যাক্স সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বিনিয়োগের জন্য সব আনুষ্ঠানিকতা সহজ করা হয়েছে। ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষা দিয়ে সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ বা পিটিএ এর মতো চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা আদায় করার জন্য সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১ এ ৩৮টি দেশের ৫৫২টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন ভার্চ্যুয়াল সেমিনারে ৬২০ জন বিশিষ্ট অতিথি অংশ গ্রহণ করেছে। ৩৬৯টি বি টু বি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আশ্বাস পাওয়া গেছে, একটি চাইনিজ কোম্পানি অবকাঠামো খাতে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ১৩টি দেশের ২০টি কোম্পানি জয়েন্টভেঞ্চারে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ছয়টি খাতে ছয়টি দেশ বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ১৪টি দেশ বাংলাদেশের ২৬টি পণ্য আমদানি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১ এর বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ডিসিসিআইয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।