ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

গোয়াল ঘরে নারীর সঙ্গে এএসআই: ১৩ আসামির জামিন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২১
গোয়াল ঘরে নারীর সঙ্গে এএসআই: ১৩ আসামির জামিন ফাইল ফটো

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেনকে আটক ও মারধরের মামলায় গ্রেফতার ১৩ আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-১-এর বিচারক উপেন্দ্র চন্দ্র দাস তাদের জামিন দেন।

এরা হলেন- উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে জহুরুল হক (২৫), কপিল উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৭), বদিউজ্জামানের ছেলে সুমন মিয়া (৩৯), মহির উদ্দিনের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৪৮), খয়বর হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক (৪০), আমজাদ হোসেন (৩৮), কবির উদ্দিনের ছেলে মুকুল মিয়া (২৩) বকুল মিয়া (২০), রাজু মিয়া (৩৭), আবুল হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৪২), আশরাফুলের ছেলে শাহজাহান সিদ্দিক (৩৩) পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আজিজুর রহমান (৩৮) ও গাইবান্ধা সদরের ফারাজি পাড়ার আফসার আলীর ছেলে নাজমুল হক (৩৭)।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাতে আসামিপক্ষের আইনজীবী নিরাঞ্জন কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পুলিশের ওই এএসআই  মুভমেন্ট পাস, সরকারি ইউনিফর্ম ও সঙ্গীয় ফোর্স ছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে মামলার বাদীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি ব্যক্তিগত কাজে ওই প্রবাসীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে শুনানি শেষে বিচারক জামিন দিয়েছেন।

এর আগে রোববার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার ( ২৯ অক্টোবর) রাতে সাড়ে ৮টার দিকে একটি মামলার বাদী মৌসুমি আকতারের বাড়ি যান কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেন। পরে বাদীর অভিযোগ শুনে ফেরার সময় বাদী মৌসুমির ভাসুর মাসুদ এএসআই তোফাজ্জলকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় চিৎকার দিয়ে মাসুদ এলাকাবাসীকে একত্র করে তোফাজ্জলকে আটক করান।

এরপর মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে তোফাজ্জলকে বাড়ির উঠানের আমগাছে বেঁধে মারধর করাসহ তার পকেটে থাকা নগদ টাকা ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেন।

খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে হামলার চেষ্টা চালায়।

এ ঘটনায় শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে  সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এতে ধর্মপুর গ্রামের মাসুদ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২০ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়।

তবে গ্রামবাসীর অভিযোগ, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ছড়ারপাতা গ্রামের এক সৌদিপ্রবাসীর বাড়িতে যান তোফাজ্জল। কিছু সময় পর ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গোয়াল ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে দেখে ফেলে এলাকাবাসী। পরে তোফাজ্জলকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশে খবর দেন তারা।  

আরো পড়ুন>
** গোয়াল ঘরে নারীর সঙ্গে এএসআই, গ্রামের ১৩ জন কারাগারে
** আপত্তিকর অবস্থায় আটক সেই এএসআই প্রত্যাহার
** গোয়ালঘরে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে এএসআই, ধরলো এলাকাবাসী

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।