ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মূলধারায় সম্পৃক্তে কাজ করছে সরকার 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২১
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মূলধারায় সম্পৃক্তে কাজ করছে সরকার 

ঢাকা: সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের এগিয়ে নিয়ে মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বুধবার (৩ নভেম্বর) ‘ইউসেপ দিবস-২০২১ এবং ইউসেপ প্রতিষ্ঠাতা লিন্ডসে অ্যালান চেইনীর জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন স্পিকার।

 

ইউসেপ বাংলাদেশের উদ্যোগে মিরপুরে ইউসেপ প্রধান কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্পিকার বলেন, মানবসেবায় নিবেদিতভাবে নিয়োজিত থাকার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত লিন্ডসে অ্যালান চেইনী ও তার প্রতিষ্ঠান ইউসেপ। নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তিনি তার সমগ্র জীবন বাংলাদেশের মানবতার সেবায় উৎসর্গ করেছিলেন। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার কার্যক্রম তিনিই প্রথম শুরু করেছিলেন। দ্রুত উন্নয়নের জন্য কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে তার প্রতিষ্ঠিত ইউসেপ কাজ করে চলেছে। দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মক্ষম জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ইউসেপ।

স্পিকার বলেন, ১৯৭২ সালে লিন্ডসে অ্যালান চেইনী সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইউসেপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালে ঢাকার সেগুনবাগিচায় ইউসেপের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কম মূল্যে অফিস বরাদ্দ দিয়েছিলেন। যে পথশিশুরা সেদিন এই সহযোগিতা পেয়েছিল, তারা নিজ প্রতিভার বিকাশের মাধ্যমে আজ সমাজ ও জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনগ্রসর শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদে সুযোগ দিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতীয় শিশু নীতি ২০১১, শিশু শ্রমনীতি ২০১০, শিশুদের প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশে সমন্বিত নীতি ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের এগিয়ে নিয়ে তাদের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে সরকার নিরলস কাজ করছে। এর মাধ্যমে দেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুযোগটি সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানো যাবে।

ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপারসন পারভীন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এহছানে এলাহী বক্তব্য দেন।  

ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল করিম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। ইউসেপ নেপালের সাধারণ সম্পাদক অজয় সিং কারকি ও ইউসেপ বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারপারসন উজমা চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২১
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।