টাঙ্গাইল: মৃত্যুর খবর জানার দুইদিন পর অবশেষে জীবিত হয়েছেন আব্দুর রহমান! গত ২ নভেম্বর তিনি জীবিত হন। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর আব্দুর রহমান ইউপি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র কিনতে গেলে নির্বাচন কর্মকর্তা জানান তিনি মৃত।
এ ঘটনায় রহমান হতভম্ভ হয়ে যান। তিনি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মাইস্তা গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য। এমন ঘটনায় নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
ভুক্তভোগী রহমানের ছেলে মিদুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য। এবারও তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। এ জন্য গত ৩১ অক্টোবর বাবাকে নিয়ে নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়েছিলাম। তখন নির্বাচন কর্মকর্তা জানান আমার বাবা মৃত। মৃত্যুবরণ করায় তাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তখন আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করি। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকতেও তাকে মৃত দেখিয়ে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। একপর্যায়ে নির্বাচন কর্মকর্তা ঢাকায় গিয়ে সংশোধনের পরামর্শ দেন। পরে আমরা ঢাকায় গিয়ে এটি সংশোধন করেছি।
তিনি আরও বলেন, মূলত বাবা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। সেজন্য তাকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। একটি মহল নির্বাচন অফিসের লোকজনের জোগসাজসে এ কাজটি করেছিল।
ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে জানতে পারি আমাকে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত ছিলাম। পরে নির্বাচন কর্মকর্তার সহায়তায় ঢাকা থেকে কাগজটি সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধনের পর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজক বলেন, মাঠ পর্যায়ে হালনাগদ করার সময় তথ্য সংগ্রহকারীর ভুলের কারণে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। রহমান নির্বাচন অফিসে আসার পর আমরা বিষয়টি জানতে পারি। পরে এটি সংশোধন হয়েছে। তিনি এখন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২১
কেএআর