পিরোজপুর: নিখোঁজের পাঁচ দিন পর পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে হাত-পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কালাইয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুর নাম লাবনী আক্তার (৬)। সে বাগেরহাটের রফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং ইন্দুরকানী কালাইয়া শিকদার বাড়ির ময়নুদ্দিন মদিনাতুল মনোয়ারা আরাবিয়া নূরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, কালাইয়া গ্রামের শহীদুল ইসলাম মৃধার নাতনি লাবনী। নানা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো। গত ৩১ অক্টোবর লাবনী খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে পায়নি পরিবার। পরবর্তীতে ইন্দুরকানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন লাবনীর মা সোনিয়া বেগম।
তবে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর গ্রামের একটি বাগান থেকে হাতের কব্জি ও পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় লাবনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল থান্দার খায়রুল ইসলাম।
নিহত লাবনীর মা সোনিয়া বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমার মেয়ে খেলার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু পরে সে ফিরে আসেনি। অনেক খুঁজেও তাকে পাইনি। আমার মেয়েকে কেউ অপহরণ করে হত্যা করেছে। যারা এ কাজ করেছে, আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ূন কবির বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে কে বা কারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে গেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২১
এনএসআর