বরগুনা: বরগুনায় সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজির। এতে স্বস্তি ফিরছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে।
সোমবার (৮ অক্টোবর) সরেজমিনে বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
এ সময় দেখা যায়, সব ধরনের সবজির কেজিতে দাম কমেছে ৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। পেপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। ৪০ টাকা কেজির শশা ও বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ১৪০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। শালগম প্রতি কেজি আগে বিক্রি হত ৪০ টাকায়, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। মূলা বিক্রি হতো ৬০ টাকা কেজি, এখন তা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ৪০ টাকা পিস বিক্রি হতো, আজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, যা আগে বিক্রি হত ৩০ টাকায়। কেজিতে ৬০ টাকা দাম কমেছে শিমের, ১৮০ টাকা কেজির শিম এখন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমেছে কুমড়া ও টমেটোর।
এ বিষয়ে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালীন সবজির দাম কমেছে ঠিকই, তবে কাঁচা মরিচের দাম আরও কমানো উচিত।
এক সবজি বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, দাম গত কয়েকদিনের তুলনায় অনেক কমেছে। এরকম চলতে থাকলে আমাদেরও ভালো, কৃষকদেরও ভালো, ক্রেতাদেরও ভালো।
ফুলতলা আবাসন এলাকার কৃষক জিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ইতিমধ্যে ভালোই ফলন আসতে শুরু করেছে। সদর থেকে পাইকাররা এসে সবজি কিনে নেয়, এজন্য আমাদের পরিবহন খরচ দিতে হয়না। তাই অনেক কম দামেই বিক্রি করে দেই।
বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, আশানুরূপ ফলন আসতে শুরু করেছে। আমরা মাঠে মাঠে গিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। আশা করা যায় কৃষকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলন পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২১
জেডএ