পিরোজপুর: পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় একটি মসজিদে তাবলীগ জামাতের মুসল্লিদের চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
অসুস্থ মুসল্লিদের শুক্রবার (১২ নভেম্বর) ভোরে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের গারতা আল সেতারা জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ তাবলীগ জামাতের সদস্যরা হলেন- নীলফামারী জেলার বড়ইবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মোস্তকিম (১৮), নেত্রকোনা জেলার তেলিগাতি গ্রামের মিজানুর রহমান (৫০) একই জেলার বড়ইখালি গ্রামের হামিদ উদ্দিন (৫৫)। নওগাঁ জেলার বাকরাইন গ্রামের সাবের উদ্দিনের ছেলে ইদুকুল ইসলাম, একই জেলার সাকড়াইল গ্রামের ইয়াসিন আলী (৫২), নওগাঁ জেলার ভান্ডারপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল ছত্তার (৪০), একই জেলার নাবিলা নোনাহারপুর গ্রামের মোস্তাকিম (৫৯) একই জেলার রসুলপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ (৭১), সুনামগঞ্জ জেলার মোহনপুর গ্রামের শফিউল্লা (৬২), একই জেলার কালিপুর গ্রামের জাফর আলী (৬০), কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদরের সফিউল্লাহ (৭০) একই জেলার রাইটহাট গ্রামের আলী আকবর (৫৯), সুনামগঞ্জ জেলার ধরনিয়া গ্রামের আব্দুল হান্নান (৬০), নোয়াখালী জেলার কাশীমপুর গ্রামের তাবারক উল্লাহ (৬৩),
কক্সবাজার জেলার নয়াপাড়া গ্রামের হাসেমউল্লার ছেলে হারুনুর রশিদ।
এদের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার আব্দুল হান্নান (৬০) এবং নোয়াখালী জেলার কাসিমপুর গ্রামের তাবারকউল্লাহর (৬৩) অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাবলীগ জামাতের এই ১৬ সদস্যের দলটি বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) উপজেলার গাড়তা মসজিদে ৪১ দিনের চিল্লায় অংশ নিতে আসেন।
তাবলীগ জামাতের সদস্য জয়পুরহাটের আক্কেলপুর গ্রামের মোজাহার হোসেন জানান, তারা রাতে নামাজ ও যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর রাতে ফজরের নামাজের সময় তাবলীগ জামাতের সদস্যরা কেউ ঘুম থেকে না ওঠায় বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হয়। পরে তারা এসে অজ্ঞান অবস্থায় ১৬ জনের ১৫ জনকে উদ্ধার করে কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি আরও জানান, সন্ধ্যার পর একটি অচেনা লোক এসে আমাদের বাড়িঘর কোথায় জিজ্ঞাসা করে এবং রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বলে চলে যায়। মুসল্লিরা আরও জানান, একজন মুসল্লির পকেট থেকে কিছু টাকা ও একটি মোবাইল খোয়া গেছে। বাকিরা সুস্থ হলে জানা যাবে আর কি কি খোয়া গেছে।
এ ব্যাপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। কোনো দুস্কৃতিকারী চুরির উদ্দেশ্যে বা নাশকতার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২১
আরএ