ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিমানবন্দরে লাগেজ পেতে ৩ ঘণ্টা, সীমাহীন ভোগান্তি

মিরাজ মাহবুব ইফতি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
বিমানবন্দরে লাগেজ পেতে ৩ ঘণ্টা, সীমাহীন ভোগান্তি

ঢাকা: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী ভোগান্তি কমার বদলে বেড়েই চলেছে। পিসিআর টেস্টসহ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে।

বিদেশ থেকে দেশে ফিরেও প্রবাসীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। শুধু লাগেজ নিয়ে বের হতেই সময় লাগছে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা।

লাগেজ বেল্ট থেকে লাগেজ এলোমেলোভাবে নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেল্টের কর্মীদেরও ব্যবহার ভালো নয় বলে অভিযোগ অনেকের।  

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এদিন দুপুর দুটার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন মো. হুমায়ুন। বিমানবন্দরের টার্মিনালে-১ এ (ক্যানপি-১) তিনি স্বজনদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। যাবেন কুমিল্লা। হুমায়ুন বাংলানিউজকে বলেন, চার মাস আগে গিয়েছিলাম সৌদি আরব। অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরে এসেছি। প্লেন থেকে নেমেছি দুপুর দুইটায়। কাস্টমস হয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে আমার সময় লেগেছে দেড় ঘণ্টা। বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের কথা কী বলবো? বাঙালি আসলে খুব খারাপ। এই দেশের কেউ পদ পেলে মানুষকে আর মানুষ মনে করে না।  

রিয়াদ থেকে আসা আলাউদ্দিন গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। যাবেন ফেনী। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের দেড় ঘণ্টা আগেই বিমান ঢাকায় ল্যান্ড করেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে লাগেজ পেতে।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, বেল্ট থেকে সবার মালামাল অগোছালোভাবে নিচে ফেলে দিয়েছে। লাগেজ খুঁজে বের করতে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। ৩৫ থেকে ৪০ জন্য লাগেজ খুঁজে পাচ্ছে না। ওই ফ্লাইটের অন্য যাত্রীরা পেরেশানিতে রয়েছেন।

বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে রিয়াদ থেকে এসেছেন মো. শাফিকুল হক। যাবেন সাভার। শাফিকুল বলেন, আমার অনেক দেরি হয়ে গেছে লাগেজ খুঁজে পেতে। যাত্রীদের ভুল থাকতে পারে। অনেকেই বিমানবন্দরের নিয়ম-কানুন জানে না। কিন্তু এসব বিষয়ে তো সহায়তা পাওয়ার কথা।  

অভিযোগ তিনি বলেন, বেল্টে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের আন্তরিকতার অনেক অভাব রয়েছে। তাদের কাছে কিছু জানতে চাইলে ধমকের স্বরে কথা বলেন।

বেল্ট থেকে লাগেজ ফেলে দেওয়ার বিষয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, বেল্টে দীর্ঘক্ষণ লাগেজ পড়ে থাকলে নিচে নামিয়ে রাখা হয়। এছাড়া অন্য ফ্লাইট চলে এলে লাগেজ নিচে ফেলে রাখা হতে পারে। নতুন ফ্লাইটে আসা যাত্রীদেরও তো লাগেজ বেল্ট দিতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় যাত্রীরা একটুতেই ক্ষুব্ধ হয়ে যায়। তারা তো বোঝে না আমরা কিভাবে ম্যানেজ করি। আমাদের লাগেজ বেল্ট ৮টি। একসাথে যদি দশটা এয়ারক্রাফট চলে আসে, তখন লাগেজ বেল্ট থেকে সরিয়ে নিচে রাখা হয়। নতুন আসা ফ্লাইটের যাত্রীদের লাগেজগুলো বেল্টে রাখা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক বলেন, লাগেজ বেল্ট মেইনটেইন করে এয়ারলাইন্স ও বিমানের কর্মচারীরা। যাত্রীদের সঙ্গে কেউ দুর্ব্যবহার করে থাকলে তা আমরা খতিয়ে দেখবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
এমএমআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।