ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নিয়ম মেনেই চলছে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
নিয়ম মেনেই চলছে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’!

ঢাকা: বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের অধীনে চালু হয়েছে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ সেবা। প্রাথমিক অবস্থায় ‘ঘাটারচর-কাঁচপুর’ রোডে এই সেবা চালু হয়েছে।

ব্যস্ততম নগরী রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা নগর পরিবহন বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর এই রুটের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা হচ্ছে ঢাকা নগর পরিবহন। বিশেষ করে যাত্রী কম থাকলেও আলাদা কোনো চাপ নেই এই বাসের চালক এবং সহকারীদের মধ্যে।

রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় আব্দুল হালিম নামে এক যাত্রী বলেন, এই বাসে সব থেকে বেশি যে ব্যাপারটি ভালো লেগেছে তা হলো ভাড়া এবং টিকিট ব্যবস্থা। সরকারিভাবে এই উদ্যোগ নেওয়ায় অন্য বাসের তুলনায় এই বাসের ভাড়া যথেষ্ট কম। আর টিকিট সিস্টেম থাকায় বাসে ওঠার সময় যে হুড়োহুড়ি লাগে, সেটিও নেই। টিকিট কেটে লাইন ধরে সবাই সু-শৃঙ্খলভাবে বাসে উঠছেন।

যাত্রাবাড়ী থেকে শাহবাগে আসা যাত্রী হালিমা খাতুন বলেন, বাসে ভিড় মোটামুটি কম। প্রথমে কয়েকটা বাসে দেখলাম একটু ভিড় আছে, তবে পাঁচ মিনিট পরপর বাস আসায় দুটো বাস পরে একটা ফাকা বাস পেয়েছি। অন্যবাস সব স্টপেজে থামায়, ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা করে। এটাতে তেমন দেখিনি বা হয়নি। এই বিষয়টা ভালো লেগেছে।

আরিফুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি যাত্রাবাড়ি থেকে সাইন্সল্যাব যাচ্ছি। প্রথমে ভেবেছিলাম ভাড়া কত নেবে! তারপর দেখলাম স্টুডেন্ট পরিচয় দিতেই হাফ ভাড়াতেই টিকিট মিললো। টিকিটের সঙ্গে আবার এটা উল্লেখও আছে যে এই টিকিটটি শিক্ষার্থীর জন্য। এটা ভালো লেগেছে আমার। বিশেষ করে সব শিক্ষার্থীর জন্যই এটি সুবিধাজনক। শুধু পরিচয় পত্র দেখালেই হলো।

রাজধানীর এই রুট ঘুরে দেখা গেছে, প্রাথমিকভাবে ঢাকা নগর পরিবহনের ৫০টি বাস চলাচল করছে। প্রতিটির গায়ে ঢাকা নগর পরিবহন লেখা রয়েছে। দ্রুতই এই বহরে আরও ৫০টি বাস যুক্ত করা হবে। সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বাসগুলো যাত্রী পরিবহন করবে। সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা এবং বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ‘পিক টাইম’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময় ৫ মিনিট পর পর যাত্রীছাউনিতে বাস এসে দাঁড়াবে। অন্য সময় আসবে প্রতি ১০ মিনিট পর পর। নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন না এবং তা করাও হচ্ছে না। কয়েক জায়গায় যাত্রীরা যত্রতত্র উঠতে বা নামতে চাইলেও তাদের নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া ওঠানো বা নামানো হচ্ছে না।

এদিকে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত পুরো পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮ কিলোমিটার। শুরুতে প্রতি কিলোমিটারে ২.১৫ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই পরিবহন সুবিধা চালু করা হয়েছে।

এর আগে রোববার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই পরিবহনের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। সড়কে যদি শৃঙ্খলা না আনতে পারি সব উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। আগামী বছর মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। আর এই পরিবহন সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
এইচএমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।