ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ন্যাপ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
ন্যাপ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই

ঢাকা: সংসদ সদস্য (এমপি) সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একটি যথাযথ জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। ন্যাপ আমাদের জাতীয় জীবনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। এখন গুরুত্বের সঙ্গে কাজটি করা দরকার। এই ‘অংশীজন সংলাপ’ একটি সূচনা হতে পারে। একটি অংশগ্রহণমূলক ও যথাযথ ন্যাপ প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে কোনো কিছুরই তুলনা হয় না, কিন্তু স্বাধীনতার মূল আকাঙ্ক্ষার সঠিক বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই আমাদের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানী মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি)- এর আয়োজনে এবং অ্যাওসেড, ব্রেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড, সিসিবিভিও, ডিয়াকোনিয়া এবং এসডিএস এর সহযোগিতায় জলবায়ু পরির্বতনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় অঞ্চলভিত্তিক সমস্যাগুলো চিহ্নিতকরণ এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তকরণ বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ের অংশীজন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।  

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা অতীতেও অনেক ডকুমেন্ট প্রস্তুত করেছি, এখন আমাদের প্রয়োজন অতীতের সফলতা এবং ব্যর্থতাগুলোর সঠিক মূল্যায়ন করা। আমাদের অতীতের ব্যর্থতাগুলো থেকে অবশ্যই শিক্ষা নিতে হবে, না হলে ন্যাপ কখনোই সফল হবে না।  

তিনি বলেন, ন্যাপকে অবশ্যই একটি ‘লিভিং ডকুমেন্ট’ হিসেবে প্রস্তুত করতে হবে এবং সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করতে হবে। আজকের এই ‘অংশীজন সংলাপ’ এবং সিপিআরডির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আনিত উপাত্ত এবং প্রস্তাবনাগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা হতে পারে। ন্যাপ প্রণয়ন প্রক্রিয়াটি বটম-আপ হবে। আমরা সবাই চাচ্ছি একটি অংশগ্রহণমূলক এবং যথাযথ ন্যাপ, সব আয়োজন দেখে মনে হচ্ছে আমরা সঠিক পথেই আছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আতিক রহমান বলেন, ন্যাপ প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে এগোচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়াটি আগামী ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে শেষ হবার সম্ভাবনা আছে। ন্যাপ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অঞ্চলগুলোর নিজস্ব বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে হবে। বাংলাদেশ একটি উপকূলীয় দেশ, ফলে দেশের সব অঞ্চলেই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্টভাবেই পরিলক্ষিত হচ্ছে।  

তিনি বলেন, সুশাসন শুধুমাত্র দুর্নীতি বন্ধ করাই না, একই সঙ্গে সঠিক সময়ে সঠিক নীতি প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়নও সুশাসনের অংশ। ন্যাপ প্রণয়নের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।  

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী, মো. শামছুদ্দোহা, বাংলাদেশ পরিবেশ সংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, এ কে এম আজাদ রহমান, প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট, ইউএনডিপি, পিকেএসএফ এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রাব্বী সাদেক আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।