ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক শক্তিশালী’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২২
‘জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক শক্তিশালী’ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ফাইল ফটো

ঢাকা: নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

শনিবার (০১ জানুয়ারি) তিনি এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার মনে হয় ৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বটে, তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন কিন্তু বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন মানুষের মধ্যে।  বাংলার প্রত্যেকটি আনাচে কানাচে আমরা বঙ্গবন্ধুকে অনুভব করি। মৃত বঙ্গবন্ধু এখন জীবিত বঙ্গবন্ধুর থেকে অনেক শক্তিশালী।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে ১৫ আগস্টে আমরা সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠান করেছি। প্রত্যেকটা বিচারপতি ওনাকে (বঙ্গবন্ধু) শ্রদ্ধা নিবেদন করে কথা বলেছেন। এখান থেকে আমার মনে হয় জীবিত বঙ্গবন্ধুর থেকে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী। যারা বঙ্গবন্ধুকে মারতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু মরেননি, আমাদের মনে জীবিত আছেন।

এরপর সেখান থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান বিচারপতি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে নতুন প্রধান বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শপথবাক্য পাঠ করান।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, বিচারপতি, সিনিয়র আইনজীবীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ৪৭ মাস প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন শেষে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যান তিনি। শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট জেলা আদালতে যোগ দেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি।  হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এবং ১৯৯৯ সালের ২৭ মে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খুলনা সিটি করপোরেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির আইন উপদেষ্টা ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল।

২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২২
ইএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।