ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

১৫ দিন বন্ধ থাকার পর রামেকে করোনা পরীক্ষা চালু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২২
১৫ দিন বন্ধ থাকার পর রামেকে করোনা পরীক্ষা চালু ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবটি শনিবার (১ জানুয়ারি) থেকে আবারও চালু হয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর হঠাৎ করে এই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়।

আকস্মিকভাবে দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিজেদের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ায় এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবটিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা চালু ছিল। টানা ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার দুপুর থেকে হাসপাতালের ল্যাবটি ফের চালু হলো। ঘটনার পর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পর এটি চালু হলো।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম ইয়াজদানী জানান, শনিবার থেকে হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবটিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা চালু করা হয়েছে। এখন থেকে আগের মতই ল্যাবটি চলবে।

এর আগে ২০২০ সালের মার্চ থেকে রামেক হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবের দায়িত্ব পালন করছিলেন এসএম হাসান এ লতিফ ও হামিদ আহমেদ। তারা হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে ছিলেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তারা করোনা ল্যাবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে পুরো সময়টা তারা সেই চাপ সামাল দেন। কিন্তু অতি সম্প্রতি রামেক হাসপাতালের আরটিপিসিআর (রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিয়েকশন) ল্যাবে কিট বক্স নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের এ ল্যাবে প্রায় ২ হাজার কিট বক্সের হিসেব মিলছিল না। এ ঘটনায় গোপনে অভিযোগ আসে হাসপাতাল পরিচালকের কাছে। এরপর সত্য উদঘাটনে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়।

গত ৯ নভেম্বর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান শাহ আলমকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষে ওই কমিটি এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারসহ উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করে। কিন্তু অভিযোগের শুরু থেকেই করোনা পরীক্ষার কিট গায়েবের অভিযোগ অস্বীকার করেন ওই দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

রেজিস্টার খাতায় কিট হিসাব সংরক্ষণের হিসাব ভুলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন। কিন্তু বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় তদন্ত কমিটির সুপারিশের আগেই তারা অব্যাহতি নেন। এর কারণ হিসেবে ডিএনএ ল্যাবে কাজের চাপ বেড়েছে উল্লেখ করেন। ১১ ডিসেম্বর অব্যাহতি চেয়ে হাসপাতাল পরিচালককে চিঠি দিন। আর ১৭ ডিসেম্বর থেকে ল্যাবে আসেননি তারা। ফলে ওই দিন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় করোনার নমুনা পরীক্ষা।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২২
এসএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।