ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৭ কিলোমিটার সড়কে গর্ত হাজারের বেশি!

তৈয়বুর রহমান সোহেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২২
৭ কিলোমিটার সড়কে গর্ত হাজারের বেশি!

কুমিল্লা: কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার প্রধান ও সবচেয়ে প্রশস্ত রাস্তা হচ্ছে নাঙ্গলকোট-জোড্ডা-বক্সগঞ্জ সড়ক। এর নাঙ্গলকোট থেকে জোড্ডা অংশের দৈর্ঘ্য সাত কিলোমিটার।

মাত্র এই সাত কিলোমিটার সড়কে গর্ত রয়েছে এক হাজারেরও বেশি। ফলে সড়কটি দিয়ে চলাচলে যাত্রী-চালকদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি নাঙ্গলকোট পৌরসভা, আদ্রা, জোড্ডা পূর্ব ও পশ্চিম, বটতলীর একাংশ, দৌলখাঁড়,বক্সগঞ্জ ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নকে যুক্ত করেছে। এছাড়া নাঙ্গলকোটের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা ও ফেনী সদরে যাতায়াতেও এ সড়ক ব্যবহার করেন। অন্তত চার লাখ মানুষের চলাচল এ সড়ক ধরে। কিন্তু গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সড়কটির বেহাল দশা। ফলে কমে গেছে যানবাহন চলাচল। অনেকে আবার বিকল্প সড়ক ব্যবহার করছেন। ফলে সময় ও অর্থব্যয় দুটোই বেশি হচ্ছে। আর এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গেলে পড়তে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের বড় বড় গর্তে পানি ঢেউ খেলছে। দূর থেকে এসব গর্তকে ছোটখাটো পুকুর মনে হতে পারে। প্রায়ই সিএনজি অটোরিকশা ও অটোরিকশা আটকা পড়ছে। বিশেষ করে সড়কের শ্রীহাস্য, আটঘরা, শংকরপুর ও ধাতীশ্বর এবং পৌরসভার দাউদপুর  অংশ একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই ভাড়া বেড়ে যায় এ সড়কে। যেমন- দিনে নাঙ্গলকোট থেকে জোড্ডার ভাড়া ৩০ টাকা। সন্ধ্যায় ওই ভাড়া ৪০ এবং রাত একটু বাড়লে ৫০ থেকে ৮০ টাকা হয়ে যায়। ওই সড়ক ধরে উপজেলার যে কোনো জায়গায় যেতে এমন লোকসান গুনতে হয় যাত্রীদের। ভাঙা সড়কে ঝাঁকুনি খেয়ে অসুস্থ রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

নাঙ্গলকোটের স্থানীয় বাসিন্দা শেখ ফরিদ জানান, দুই-এক বছর পরপরই সড়কটি মেরামত করা হয়। মেরামতের অল্প কয়েকদিনে এটি ভেঙে যায়। বছরে তিন মাস সড়কটি ভালো থাকলে, নয় মাস থাকে ভাঙা!

কুমিল্লার একটি কলেজে পড়াশোনা করেন নুরুল ইসলাম নিশাত। তিনি নোয়াখালীর সেনবাগের বাসিন্দা।   জানান, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ চলায় প্রায়ই এ সড়ক হয়ে কুমিল্লায় আসতে হয়। বেশিরভাগ সময়ই সিএনজি অটোরিকশা গর্তে আটকে যেতে দেখি।

সিএনজি অটোরিকশাচালক মানিক জানান, রাস্তাটি চলাচল অনুপযোগী হওয়ার কারণে অনেক যাত্রী ভিন্ন সড়ক ব্যবহার করেন। যাত্রী কমে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া নিতে হয়।

নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালু জানান, সড়কটির কাজ হয়েছে প্রায় ১৪ বছর আগে। মাঝে সংস্কার কাজ হয়েছে। একটি সড়ক সংস্কার ছাড়া বেশিদিন ভালো থাকতে পারে না। শুনেছি এটি মেরামতের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে নাঙ্গলকোট উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল এবং ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ৩ ডিসেম্বর,২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।