হবিগঞ্জ: শীত মৌসুম চলছে, শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহও, সঙ্গে করোনা মহামারি। সব মিলিয়ে জাতির ক্রান্তিকালে স্বল্প আয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়ানো বড় প্রয়োজন।
হবিগঞ্জে বসুন্ধরা গ্রুপের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে শহরতলীর বহুলা এলাকায় এই শীতবস্ত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নানা শ্রেণীপেশার ৫শ নারী-পুরুষ ও শিশুদের হাতে একটি করে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। এ সময় অতিথিবৃন্দ ও এলাকাবাসী বসুন্ধরা গ্রুপের প্রশংসা করেন এবং বৃহৎ এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।
শীতবস্ত্র নিতে আসা শাহানা আক্তার বলেন, তার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৬ জন। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় তারা শীতে কষ্ট করতেন। বসুন্ধরা গ্রুপের শীতবস্ত্র পেয়ে সেই কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ছাত্র সানী। তার বাবা একজন শ্রমিক। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় শীতে কষ্ট করতে হতো তাকে। বসুন্ধরা গ্রুপের একটি কম্বল পাওয়ায় হাসিমুখে বাড়ি ফেরে শিশুটি।
একইভাবে শীতবস্ত্র হাতে পেয়ে উৎফুল্ল মনে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেছেন জাহানারা, খুদেজা বানু, আকিল উদ্দিন ও শিশু নুরুন্নাহারসহ ৫শ মানুষ।
দৈনিক কালেরকণ্ঠের পাঠক সংগঠন শুভ সংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামানের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান শামীম, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাসেল চৌধুরী, কালের কণ্ঠের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি শাহ ফখরুজ্জামান, শুভসংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, ব্যবসায়ী জাকারিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
কালেরকণ্ঠের প্রতিনিধি শাহ ফখরুজ্জামান জানান, হবিগঞ্জ জেলার সদর ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ৭০০ জন অস্বচ্ছল মানুষকে বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল দেওয়া হয়েছে। পরে চুনারুঘাট ও বানিয়াচং উপজেলায় আরও ৭০০ জনকে একইভাবে শীতবস্ত্র দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
আরএ