জামালপুর: গত ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার পর গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রামছাড়া মানুষদের নিজ এলাকায় ফিরে আসতে আলোচনা সভা করেছে প্রশাসন।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) মেরুরচর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনমুন জাহান লিজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল হাসান রাসেল।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার।
আলোচনা সভা শেষে মেরুরচর বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল হাসান রাসেল।
৫ তারিখে সহিংসতায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়ি ছাড়ে ৪ গ্রামের মানুষ। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের বাজার। ১৫টি মসজিদে আজানসহ নামাজ বন্ধ হয়। তিনজন মানুষ মৃত্যুবরণ করলেও জানাজায় কেউ আসেনি।
জানা যায়, ৫ জানুয়ারি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংর্ঘষের ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ পুলিশের এএসপির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান কেন্দ্রে প্রবেশ করলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা একত্রিত হয়ে কেন্দ্রের মধ্যে হামলা চালায়। হামলায় এএসপি রাসেল ও বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। আগুন দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। এ সময় চারটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেয় বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই শতাধিক রাউন্ড গুলি করে পুলিশ। এদিন ১০ পুলিশ সদস্যসহ অসংখ্য গ্রামবাসী আহত হয়। পরে র্যাব, বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
আরএ