হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া ইউনিয়নের পাঁচ পীরের মাজারে গানের অনুষ্ঠান চলাকালে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে বিআরটিসি বাস চালক আফজাল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি হয়ে পলাতক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদাল মিয়া চৌধুরী। ছুটি না নিয়েই ১৬ দিন ধরে এ কর্মকর্তার কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
হত্যা মামলার আসামি হওয়া এবং ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে শিগগির ওই কর্মকর্তাকে তার পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।
পুলিশ জানায়, গত ৯ জানুয়ারি রাতে লোকড়া ইউনিয়নের ফান্দ্রাইল পাঁচ পীরের মাজারে বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে মেলা ও গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাত ১২টার দিকে গানের অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে ফান্দ্রাইল গ্রামের জালাল মিয়া চৌধুরীর ছেলে ও বিআরটিসি গাড়ির চালক আফজাল চৌধুরীকে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষ। তাকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই তাউস মিয়া। এতে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ ও আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বাংলানিউজকে জানান, এজাহারানমীয় আসামিদের মধ্যে অন্যতম আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদাল মিয়া চৌধুরী। মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি পলাতক।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্তব্যরত একজন জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। দপ্তর থেকে ছুটিও নেননি তিনি।
যোগাযোগ করা হলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আগে জানা ছিল না। তবে তিনি যদি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি হন এবং ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে শিগগির তাকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
এনটি