ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নিরপেক্ষদের আনার চেষ্টা করব: সার্চ কমিটির সভাপতি 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২
নিরপেক্ষদের আনার চেষ্টা করব: সার্চ কমিটির সভাপতি  বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

ঢাকা: সংবিধান ও আইন অনুসারে সার্চ কমিটি দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সই করা প্রজ্ঞাপন জারির পর তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।

কমিটির সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, রাষ্ট্রপতি আমার এবং আমার সঙ্গীদের ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আশা করি সংবিধান অনুযায়ী সে দায়িত্ব পালন করব। এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়নি। সাচিবিক দায়িত্বে থাকা কেবিনেট সেক্রেটারিসহ আশা করি কালকের মধ্যে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করব, কথা বলব কীভাবে কাজ করতে হবে। তাদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি গত সার্চ কমিটিতে ছিলাম। সেখানে কনভেনর ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আমি তখন সদস্য ছিলাম। তখন আমরা যেভাবে গেছি সেভাবে যেতে পারব। তবে আমার সহকর্মীরা কী বলেন সেটা তার ওপর নির্ভর করবে। তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নাম পাঠিয়েছিলেন, দেখা যাক কী করা যায়।

আরেক প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, রাষ্ট্রপতি জাতির পক্ষ থেকে আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন। আস্থাটা আমরাও রাখতে চাই। তার আস্থার সম্মান দিতে চাই, দেব। আশা করি নিরপেক্ষভাবে আমরা সকলে মিলে নিরপেক্ষ মানুষদের সেখানে যাতে আনা যায় সে চেষ্টা করব। আমরা ১০টা নাম দেব। রাষ্ট্রপতি পাঁচজনকে সিলেক্ট করবেন। ঠিক করবেন রাষ্ট্রপতি। আশা করি ভালোই হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২-এর ধারা ৩ মোতাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারগণের নিয়োগদানের জন্য আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করার লক্ষ্যে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করা হলো।

অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবে।  

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী, এর আগেই নতুন ইসি গঠন করা হবে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের মনোনীত করার পর রাষ্ট্রপতি তা চূড়ান্ত করেন। তবে এবার নতুন আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করা হলো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ২৭ জানুয়ারি বিলটি জাতীয় সংসদে পাসের পর ২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আইনটিতে সম্মতি দেন। ৩০ জানুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।  

‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।  

আইন অনুযায়ী, আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠিত হবে। আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে তারা ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। ১০ জনের মধ্য থেকেই পাঁচজনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২
ইএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।