ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

চোর অপবাদে কিশোরকে হাত-পা বেঁধে পিটুনি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
চোর অপবাদে কিশোরকে হাত-পা বেঁধে পিটুনি 

রাজশাহী: চোর চোর বলে ধাওয়া করে ধরা হয় কিশোরকে। এরপর চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা বেঁধে তাকে বেধড়ক পেটান গ্রামের কয়েকজন।

পরে তাকে মারধরের সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।  

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নের গোটিয়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। মারপিটের শিকার হওয়া ওই কিশোরের নাম দোয়েল (১৭)।

সে পুঠিয়া উপজেলার ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নের টোনাপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। ঘটনার দুদিন পর শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুঠিয়া থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।

মারধরের সঙ্গে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- পুঠিয়া উপজেলার গোটিয়া গ্রামের আব্দুল বারিক, বিদ্যুৎ কুমার ও জিতেন ধর।
 
পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের আদিবাসীরা প্রতিদিন সকালে মাঠে কাজে যান। গত বৃহস্পতিবারও (১৭ ফেব্রুয়ারি) সবাই কাজে চলে যান। দুপুরের পর স্থানীয় আদিবাসী পরেশ সর্দার বাড়ি ফিরে দেখতে পান ঘরের তালা ভাঙা। এ সময় দোয়েল নামের ওই কিশোরকে তার বাড়ির থেকে দৌড়ে পালাতে দেখেন। এরপর চোর চোর বলে তিনিও পিছু নেন। একপর্যায়ে গ্রামের লোকজনও যোগ দেন।

তারা দৌড়ে দোয়েলকে ধরে ফেলেন। পরে তার হাত-পা বেঁধে কয়েকজন মিলে বেধড়ক পেটান। এ ঘটনায় ধারণ করা ১ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।  

রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দোয়েলের বাবা সাইদুর রহমান এ ঘটনায় বাদী হয়ে শনিবার থানায় মামলা করেছেন। পরে তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওসি বলেন, মামলায় দোয়েলের বাবার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তার ছেলে গোটিয়া গ্রামের এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিল। ওই সময় কিছু লোকজন তাকে চোর চোর বলে ধাওয়া করে। এরপর হাত-পা বেঁধে তাকে উপর্যুপরি পেটায়। এ ঘটনায় সে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
এসএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।