রাজশাহী: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে এমন ফসল করতে হবে যেন পানির সেচ কম লাগে এবং উৎপাদন বেশি হয়। বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকের উন্নয়নে আমরা আগামীতে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছি যেন কৃষকের উন্নয়নে সেগুলো কাজে লাগে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তানোর উপজেলার কামারগাঁও এলাকায় আলু ক্ষেত পরিদর্শন ও স্থানীয় আলু চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা আলুর নতুন নতুন জাত নিয়ে কাজ করছি। আমাদের দেশে যে আলু উৎপাদন হয়, তা আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কম। তাই আন্তর্জাতিক বাজারের যে ধরনের আলুর চাহিদা বেশি; সেই আলু চাষাবাদ করা হচ্ছে। তানোরে প্রায় ২০টি নতুন জাতের আলু চাষাবাদ করা হয়েছে। যে আলুগুলোর বীজগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। তার ফলাফল অনেক ভালো। এ জাতের আলুগুলো অল্প দিনে জমি থেকে কৃষক ঘরে তুলতে পারবে। এছাড়া সেচ ও কীটনাশক কম ব্যবহার করে চাষ করতে পারবে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল খাদ্য ধান বা চাল। এটির ফলন অনেকটা বাড়াতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এ বরেন্দ্র অঞ্চলে আগে একটি ফসল হতো আমন জাতের ধান তাও উন্নত জাত ছিল না। এই একটা ফলনের জায়গায় এখন বোরো ধানসহ অনেক ফসল হয়। এ অঞ্চলে ধানের পাশাপাশি অন্যান্য ফসল চাষ করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ধানের সমস্যা হলো প্রচুর পরিমাণে পানি প্রয়োজন। অন্যদিকে এ অঞ্চলে পানি স্বল্পতাও রয়েছে। তাই আমরা এমন ফসল আনতে যাচ্ছি যা, উৎপাদনের সেচ ব্যবস্থা কম লাগবে এবং উৎপাদন বাড়াবে। সেদিক থেকে আলুর জন্য সবচেয়ে কম পানি লাগে। ধান করতে লাগে ১৪০ দিন সময় কিন্তু আলু করতে সময় লাগে মাত্র ৮০ থেকে ৯০ দিন। এর ফলে আলু উৎপাদনের পানি কম লাগে এবং ধানের ক্ষেতের ভেতর পানি জমিয়ে রাখতে হয়, আলুর ক্ষেত্রে তা রাখতে হয় না।
অনুষ্ঠানে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমডিএ নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
এসএস/আরআইএস