গাজীপুর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জনজীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কারাগারে নিরাপদে আটক রাখা হয়। ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনকারীদের সাজা কার্যকর করা হয়েছে কারাগারে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত ১২তম ব্যাচ ডেপুটি জেলার এবং ৫৯তম ব্যাচ কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি কারাগার ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস ও কারাগারের নাম একসঙ্গে মিশে আছে। কারাগারেই নির্মমভাবে শহীদ হয়েছেন জাতীয় চার নেতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, কারাগারকে সংশোধনাগারে রূপান্তর করতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। কারাগারের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং বাড়ানো হয়েছে বন্দিদের সুযোগ-সুবিধা। বর্তমান সরকারের আমলেই ২০০ বছরের ইতিহাসের সকালের নাস্তায় রুটি ও গুড়ের পরিবর্তে সপ্তাহে চার দিন সবজি, রুটি, দু’দিন খিচুড়ি, একদিন হালুয়া, রুটি দেওয়া হচ্ছে। বাংলা নববর্ষসহ বিশেষ দিবসগুলোতে উন্নতমানের খাবারের জন্য বন্দি প্রতি বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবং বিভিন্ন ভাতা বাড়ানো হচ্ছে। কারাগার এখন কেবল শাস্তি কার্যকর করার জায়গা নয় বরং কারাবন্দিদের বিভিন্ন প্রকার কর্মমুখী প্রেষণামূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে দেওয়ার ন্যায় গুরুদায়িত্ব পালন করছে কারাগারগুলো। মোবাইলে কথা বলার পাশাপাশি ভিডিওকল গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার লুৎফুল কবির, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার, জেলাসহ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ক্রেস্ট তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
আরএস/আরবি