ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীর আতিথেয়তা-সৌন্দর্যে মুগ্ধ ভারতীয় অতিথিরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২২
রাজশাহীর আতিথেয়তা-সৌন্দর্যে মুগ্ধ ভারতীয় অতিথিরা

রাজশাহী: রাজশাহীতে বাংলাদেশ-ভারত ৫ম সাংস্কৃতিক মিলনমেলা-২০২২ সফলভাবে শেষ হয়েছে। চারদিনের মিলনমেলায় অংশ নিয়ে মঙ্গলবার (১ মার্চ) নিজ দেশে ফিরে গেলেন ভারতীয় অতিথিরা।

ফিরে যাওয়ার আগে জানান, রাজশাহীর আতিথেয়তা ও সৌন্দর্যে অসাধারণ মুগ্ধতার কথা। সাংস্কৃতিক মিলনমেলা আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।

রাসিকের পৃষ্ঠপোষকতায় দুটি দেশের এই সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের আয়োজন করে ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ। ’

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে পৌঁছান অতিথিরা। সেদিন স্থলবন্দর এবং বিমানবন্দরে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর শনিবার থেকে শুরু হয় উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

চার দিনের এ অনুষ্ঠান শেষে মঙ্গলবার ভারতে ফিরে গেছেন তারা। এদিন ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, সাহেব চ্যাটার্জীসহ কয়েকজন অতিথিকে শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দরে বিদায় জানান আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।

ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (জেল, অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি সেবা) রামপ্রসাদ পাল বলেন, আমের মৌসুমে এলে আর আম খাওয়া লাগতো না। রাজশাহীর মানুষের আচার-ব্যবহার আমের চেয়েও মিষ্টি। এই আতিথেয়তার স্বাদ নিয়ে গেলাম। যতদিন বাঁচব, মনে থাকবে। রাজশাহীর মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসা আমরা কখনও ভুলব না।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারতবর্ষে তো বহু সংস্কৃতি, বহু ভাষা, বহু রকম মানুষ। কিন্তু আমাদের ত্রিপুরা, যেখানে বেড়ে উঠেছি তার সঙ্গে বাংলাদেশের একটুও পার্থক্য নেই। পার্থক্য যদি বলি, তাহলে এখানকার আতিথেয়তার কথাই বলতে হয়। এটা অসাধারণ। ’

রামপ্রসাদ পাল বলেন, আমাদের সঙ্গে এ দেশের ভাষা, সংস্কৃতিসহ নানা ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। রাজশাহীতে আসার পর থেকে যে আতিথেয়তা ও আপ্যায়ন পেয়েছি, তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। সবকিছু মিলে আমি মুগ্ধ। রাজশাহী অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর শহর।

ভারতের দৈনিক আজকাল পত্রিকার সাংবাদিক ও আজকের পত্রিকার কলকাতা প্রতিনিধি তরুণ চট্টোপাধ্যায় বলেন,  ‘রাজশাহী অনেক সুন্দর, শুধু খবরের কাগজেই পড়েছি। নিজের চোখে এবার দেখে গেলাম এ শহর কতটা সাজানো-গোছানো আর সুন্দর। ’

রাজশাহী এসে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশটাকেই আমি অনেক ভালবাসি। রাজশাহী শহরে এসে তো আমি অভিভূত। এতো আয়োজন! এতো আতিথেয়তা! সত্যিই অসাধারণ। এক কথায় আমি সত্যিই মুগ্ধ। ’

ভারতের কবি, লেখক ও সংগীতশিল্পী ম  নবনীতা রায় চৌধুরী বললেন, ‘এই মিলনমেলায় এসে বুঝলাম রাজশাহীতে সংস্কৃতির চর্চা হয়। এখানকার মানুষ সংস্কৃতিপ্রিয়। পুরনো শহর বলেই হয়ত এখানকার মানুষ সংস্কৃতিপ্রিয়। সত্যি বলতে কি, কোনো কালচারাল অনুষ্ঠানে যে এত মানুষ হাজির হয়, তা এই প্রথম রাজশাহীতেই দেখলাম। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, ২মার্চ, ২০২২
এসএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।