বরগুনা: বরগুনায় ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে তালতলী থানার আওতাধীন ছোট ভাইজোড়া গ্রামের রাখাইন জনগোষ্ঠীর সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বুধবার ( ২ মার্চ ) সকালে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী রাখাইন ও মুসলিম পরিবারের সদস্যরা।
ভূমিদস্যুচক্র বিভিন্নভাবে থানায় দরখাস্ত করে পক্ষপাতিত্ব শালিসগণের দ্বারা রোয়েদাদ সৃষ্টি করে ৪২.৬০ একর জমি আত্মসাৎ ও গ্রাস করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ক্ষমতার দাপটে একাধিক ঘর তোলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
জালিয়াতচক্র তাদের তৈরি জাল দলিল ব্যবহার করে আমতলী সহকারী জজ আদালত, কবলাদার আ. আজিজ ২য় আদালতে মামলা করে। আদালতের কোনো ডিক্রি না থাকা সত্তেও জালিয়াতচক্র শাহআলম গং প্রভাব খাটিয়ে দখলীয় জমি জবরদখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে মাচেজেন রাখাইন আরো বলেন, ভূমিদস্যুচক্রের হোতা শাহআলম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা, দস্যুতাই তাদের পেশা। অংজানফ্রু নামক জনৈক রাখাইন শাহআলমসহ ১৮জনের নামে জাল দলিলের বিরুদ্ধে আমতলী হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হাজতবাস করলেও বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
একাধিক দলিলের নম্বরে একাধিক দলিল জালিয়াতি করে ভূমিদস্যু চক্রের হোতা শাহআলম জাল সিল প্রয়োগ করে রাখাইনদের ভিটেবাড়ি দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। জমি দখলে থাকা একাধিক রাখাইন ও একাধিক মুসলিম পরিবারকে দেশ থেকে উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে এই জালিয়াতচক্র।
অভিযোগের আলোকে বরগুনার সহকারী পুলিশ সুপার, তালতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সিআইডি আমতলী সাবরেজিস্ট্রি অফিস তদন্ত করলে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সানলেন, উতেমং, তোতেমং , মংথিংজো, মো. হযরত আলী মল্লিক, আ. আজিজ, সোবাহান, তাসলিমা, মমতাজ, জয়নব, আবুল কালাম ও আলমগীর হোসেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শাহ আলম বলেন, তাদের সঙ্গে বহুবার শালিস বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করার চেষ্টা করা হলেও তারা বসছেন না। আদালতে মামলা চলছে। সেখানে যে রায় হবে সেটাই আমরা মেনে নেব।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২২
এসআইএস