ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইজিবাইক চুরির আগে খুনি হয়ে ওঠেন তারা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
ইজিবাইক চুরির আগে খুনি হয়ে ওঠেন তারা! গ্রেফতারকৃত সাতজন, ইনসেটে উদ্ধার করা ইজিবাইক

পাবনা: পাবনা জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে দুই ইজিবাইকচালক হত্যা মামলার মাস্টার মাইন্ডসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ চক্রের সদস্যরা ইজিবাইকের জন্য প্রয়োজন হলে চালককে খুন করতেও পিছপা হন না।

 

শুক্রবার (০৪ মার্চ) সকালে পাবনা সদর থানা চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযানের বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ তথ্য তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার মোহম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।

সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাবনা সদর থানাধীন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি ডোবায় পাওয়া যায় ইজিবাইকচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের (৬০) মৃতদেহ। এর ঠিক দুই মাস পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখে সদরের মনোহরপুর এলাকার মসজিদের পাশ থেকে রইচ উদ্দিন (৬০) নামে আরও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ দু’টি হত্যার ঘটনায় পাবনা সদর থানাতে লিখিত অভিযোগ করেন দুই পরিবারের সদস্যরা।
মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা ও পাশের কুষ্টিয়া, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে চোরাই ১২টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।  

এ চোর চক্রের সদস্যরা কৌশলে যাত্রীবেশে গাড়িতে উঠে চালককে চেতনানাশক ওষুধ সেবন করিয়ে অথবা চোখে মলম লাগিয়ে মালপত্র লুটে নিতেন। সেই সঙ্গে সুযোগ পেলে ছিনিয়ে নিতেন ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক।  

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার করা সাতজনের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার হেলালপুর গ্রামের মো. দুলাল শেখের ছেলে মো. সুমন শেখ (৩০) হলেন এসব অপকর্মের মাস্টার মাইন্ড। তার নামে জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাইয়ের ছয়টি মামলা রয়েছে।
 
গ্রেফতারকৃত বাকিরা হলেন- পাবনা সদরের আটঘরিয়া থানার অভিরামপুর গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়া (৪৫), একই থানার দেবত্তর অফিসপাড়ার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. বজলুর রহমান, একই থানার অভিরাম এলাকার মো. হাসান আলী (২৫), পাশের নাটোর জেলার বড়াউ গ্রাম থানার নগড়পাড়ার মো. খোয়াজ মোল্লার ছেলে মো. শামীম মিয়া (২৫), একই থানার চক বড়াউগ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ও একই থানার বাজিতপুর এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম। এর মধ্যে বাচ্চু মিয়া লুণ্ঠিত ইজিবাইক বিক্রি চক্রের মূলহোতা।

দুই ইজিবাইকচালক হত্যার ঘটনার পরে একটিতে ছেলে মো. শামীম হোসেন ও আরেকটি স্ত্রী শাহানা বেগম বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।