যশোর: যশোরে রামকৃষ্ণদেবের ১৮৭তম জন্মতিথি ও বার্ষিক উৎসবে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, রামকৃষ্ণদেব ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। সবার সহযোগিতায় শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ববাসীকে আকৃষ্ট করেন তিনি।
তার আদর্শ ছিল একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে। ধর্ম যার যার, মানুষ হিসেবে সবাই সমান। সব মানুষকে সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে। মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ করা যাবে না। ধর্মের নামে কোনো অপপ্রচার করা যাবে না। ধর্মান্ধ থাকা যাবে না। যার যার ধর্ম তাকে পালন করতে হবে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন তিনি। তার মতে ধর্ম হবে শান্তি ও সম্প্রীতির মূর্তপ্রতীক।
শুক্রবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনে এ আয়োজনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দের সভাপতিত্বে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করেন। সবাই নিজ নিজ ধর্ম সর্ম্পকে সঠিকভাবে অধ্যায়ন করলে কেউ অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি বিদ্বেষী হবে না। ধর্মের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষকে ভালো রাখা। কোনো ধর্মই হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানির পক্ষে নয়। একমাত্র ধর্ম অন্ধরাই ধর্ম নিয়ে হানাহানি করে। সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ওই শ্রেণির মানুষরা কখনো কারোর ভাল চায় না। তারা সবার কাছে ঘৃণিত।
উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন- যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। মূখ্য আলোচক ছিলেন খুলনা সরকারি বিএল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক প্রেমানন্দ মণ্ডল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশ্রমের সহ-সম্পাদক স্বামী আত্মবিভানন্দ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রবীন শিক্ষক তারাপদ দাস।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২২
ইউজি/আরএ