ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় নারীদের কর্মসংস্থানের অভাব প্রকট

মাহবুবুর রহমান মুন্না, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২২
খুলনায় নারীদের কর্মসংস্থানের অভাব প্রকট

খুলনা: খুলনায় নারীদের কর্মসংস্থান খুবই সীমিত। অথচ শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত অনেক নারী আছেন যারা নিজেরা কিছু করতে চান।

নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। স্বামীকে সহযোগিতা করতে চান। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য খুলনায় নারীদের কর্মসংস্থানের অভাব প্রকট।

সেরা রাঁধুনী ১৪২৭-এর দ্বিতীয় স্থান অধিকারী খুলনার মেয়ে রন্ধনশিল্পী নাদিয়া নাতাশা খুলনায় নারীদের অবস্থান তুলে ধরে এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিশ্ব নারী দিবসে এক বিশেষ সাক্ষাতকারে খুলনা মহানগরের সাউথ সেন্ট্রাল রোডে তার বাসায় নারীদের নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের।

খুলনার নারীদের কী করা উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে নাদিয়া বলেন, খুলনায় নারীদের কর্মসংস্থানের প্রয়োজন অনেক বেশি। অনেক শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত নারী বসে আছেন কিছুই করছেন না। এক্ষেত্রে রন্ধনশিল্পকে পেশা হিসেবে নেওয়া যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে একটু যদি শিখে বা ব্যক্তিগতভাবে কারও কাছ থেকে শিখে পেশা হিসেবে নিতে চান তাহলে অনেক দিন কাজ করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, রান্না একটি শিল্প। এখন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রন্ধনশিল্পের অনেক প্রসার ঘটেছে। তৈরি হয়েছে সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান। দেশে ও দেশের বাইরে রন্ধনশিল্পীদের ব্যাপক সম্মান ও চাহিদা রয়েছে।

আক্ষেপ করে নাদিয়া বলেন, অনেকে আসেন স্বল্প সময়ে রন্ধনশিল্পে সফল হতে। সফলতা পাওয়ার কোনো শর্টকাট ওয়ে নেই। সাফল্যের রহস্য পরিশ্রমের মধ্যে নিহিত। সফলতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই সময়কে মূল্যায়ন করতে হবে।

রন্ধনশিল্পে সফলতা পেতে হলে কী কী কাজ করতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে নাদিয়া বলেন, রান্নাটা আসলে জানার ব্যাপার, শেখার ব্যাপার। অনেকগুলো কোর্স করেছি। বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ করাচ্ছি। বাসায় এসেও মেয়েরা শিখছেন। অনেক নারী উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন রান্নাকে পেশা হিসেবে নিতে। যেকোনো কাজে মন দিয়ে লেগে থাকতে হবে। যথেষ্ট শ্রম ও মেধা দিয়ে কাজ করতে হবে।

নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার জার্নিটা এতটা সহজ ছিল না। ২০১৫ সালে শুরু করেছিলাম। এখন ২০২২ সাল। এ পর্যন্ত আসতে অনেক চড়াই উৎড়াই পার হয়ে আসতে হয়েছে। আমি যখন সেরা রাঁধুনী ১৪২৭-এ ছিলাম তখন দেখা যেত আমি রান্নার ক্ষেত্রে বেকিং বা ডেজার্ট আইটেম করতে বেশি কম্ফর্ট ফিল করতাম। কিন্তু ফাইনালে আমাকে সি ফুড রাউন্ড ও রেস্টুরেন্ট রাউন্ড করেই এ শ্রেষ্টত্ব অর্জন করতে হয়েছে।

রন্ধনশিল্পী নাদিয়া বলেন, অনেকে সামান্য রান্না শিখেই খাবার বাজারজাত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে বেশিদূর আগানো যায় না। বিভিন্ন ধরনের রান্না কীভাবে করে তা জানার পাশাপাশি নিজেকে সেটা সঠিকভাবে রাঁধতে ও জানতে হবে। বাচ্চাদের সন্তুষ্ট করার জন্য যে খাবার রান্না করা হয় সে খাবার দিয়ে ক্রেতা সন্তুষ্ট করা যায় না। রান্নাকে পেশা হিসেবে নিতে শুধু প্রশিক্ষণ অর্জন করলেই হবে না রান্নার উপকরণ, সঠিক পরিমাণ, রান্নাটা যাতে সুস্বাদু হয়, রান্নার গুণগতমান যাতে ভালো হয় সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। ভালো রাঁধুনী তখনই হবেন যখন তার রান্না খেয়ে মানুষ তৃপ্তি পাবে এবং প্রশংসা করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২২
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।