গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ছোট বোন হালিমা খাতুনকে (১৩) গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সিফাতুল্লাহ (১৭) নামে এক কিশোরের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলাবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ছোট দিঘলীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোট দিঘলীয়া গ্রামের জাকির হোসেন (৫৫) ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম (৪৫) দম্পতির ২৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের দু’জনের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। পারিবারিক কলহের জের ধরে মঙ্গলবার স্বামীর ওপর অভিমান করে নুরুন্নাহার বেগম বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যান।
অপরদিকে জাকির হোসেনও বাড়ি থেকে কাজে চলে যান। এসময় পারিবারিক কলহ নিয়ে দুই ভাইবোন সিফাতুল্লাহ ও হালিমার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সিফাতুল্লাহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে হালিমার গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, জাকির হোসেন একজন সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ। যার জন্য প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। ঝগড়ার সময় সিফাতুল্লাহ বাবা ও হালিমা মায়ের পক্ষ নিত। সে কারণে সিফাতুল্লাহ তার বোনকে হত্যা করতে পারে।
নুরুন্নাহার বেগম বলেন, আমি যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই, তখন সিফাতুল্লাহ, হালিমা ও আমার প্রতিবন্ধী ছেলে শফিউল্লাহ বাড়িতে ছিল। সে সময় পারিবারিক কলহ নিয়ে সিফাত ও হালিমার মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। আমার ধারণা, সিফাতই হালিমাকে হত্যা করেছে।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। আমরা সিফাতউল্লাকে আটক করার চেষ্টা করছি। তাকে খুঁজে পেলেই হালিমা হত্যার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, হালিমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২২
এসআই