ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বিমানবন্দরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন হাদিসুরের ভাই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২২
বিমানবন্দরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন হাদিসুরের ভাই বিমানবন্দরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন হাদিসুরের ভাই, ছবি জিএম মুজিবর

ঢাকা: রোমানিয়া থেকে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ২৮ নাবিক ঢাকায় ফিরলেও ফিরেননি থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান। তবে বিমানবন্দরে এসেছিলেন হাদিসুর রহমানের স্বজনরা।

বুধবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাদিসুর রহমানের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স। তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, 'আমার ভাই গো। আমার ভাই আর নেই। আমার ভাই আর নেই। '

হাদিসুর রহমানের বাড়ি বরগুনার বেতাগিতে। তার চাচাতো ভাই সোহাগ হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দাবি আমরা যাতে ভাইযের মরদেহটা সঠিকভাবে বুঝে পাই। হাদিসুর ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার ছোট দুই ভাইকে যদি সরকার কোনো চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় তবে পরিবাটির জন্য ভালো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই আমাদের চাওয়া।

গত ২ মার্চ ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। পরদিন ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে মলদোভা, পরে রোমানিয়া নিয়ে আসা হয়।

ইউক্রেন থেকে ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও হাদিসুর রহমানের মৃতদেহ এখনই দেশে আনা সম্ভব হয়নি। তার মৃতদেহ ইউক্রেনে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে। পরে সুবিধামতো সময়ে তার মৃতদেহ দেশে আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২২
এসজেএ/টিআর/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।