ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

অবশেষে সেই সেচ পাম্পে সংযোগ দিল পল্লী বিদ্যুৎ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
অবশেষে সেই সেচ পাম্পে সংযোগ দিল পল্লী বিদ্যুৎ

লালমনিরহাট: ঘুষ দিয়েও বিচ্ছিন্ন সংযোগ সচল না করা সেই সেচ পাম্পে অবশেষে পুনরায় সংযোগ দিয়েছে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আদিতমারী সাব জোনাল অফিস।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সেচ পাম্প মালিক মোক্তার আলী বাংলানিউজকে বলেন, কোনো শর্ত ছাড়াই সকালে বিদ্যুতের লোকজন এসে বিচ্ছিন্ন সংযোগটি চালু করে দিয়েছেন।

এর আগে গত ৩ মার্চ কোনো কারণ ছাড়াই ১১০ বিঘা জমির বোরো ক্ষেতের সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আদিতমারী সাব জোনাল অফিস।

পুনঃসংযোগের দাবিতে সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামের বোরো চাষিরা পানিশূন্য বোরো ক্ষেতের আইলে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।

ভুক্তভোগী চাষিরা জানান, গত ২০১৮ সালে সেচ সংকট দূর করতে স্থানীয় কৃষক মৃত আসমত আলীর ছেলে মোক্তার আলী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস আদিতমারীতে যোগাযোগ করে সেচ পাম্পের অনুমোদন নেন।

নিজের টাকায় ট্রান্সফরমার কিনে সেচ পাম্পের সংযোগ নেন। যার হিসাব নম্বর-০৭/২৬৫/১০১২। চলতি বোরো মৌসুমেও ওই সেচ পাম্পের আওতায় ১১০ বিঘা জমিতে বোরো চাষাবাদ করেন গ্রামের চাষিরা।

ঊর্ধ্বমুখী বাজারে নিজে না খেয়েও বোরো ক্ষেতে সার ও সেচ দেওয়াসহ নিয়মিত পরিচর্যা করছেন কৃষকরা।

গত ৩ মার্চ সেই সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আদিতমারী সাব জোনাল অফিসের ডেপুটি ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল। সংযোগ বিচ্ছিন্নের কারণ জানতে চাইলে সেচ পাম্প মালিক মোক্তার আলীকে অফিসে ডাকেন তারা। অফিসে গেলে একটি খাবার হোটেলে ডেকে নিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন ডিজিএম। ক্ষেত রক্ষায় ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েও মেলেনি পুনঃসংযোগ।  

কৃষকদের এমন অভিযোগে গত ১১ মার্চ বাংলানিউজে "ঘুষ দিয়েও মেলেনি বিদ্যুৎ, সেচের অভাবে বোরো ক্ষেত চৌচির" শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যার তিনদিন পরে পুনঃসংযোগের দাবিতে বোরো ক্ষেতের আইলে মানববন্ধন করেন চাষিরা। এরপর টনক নড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের। অবশেষে পুনঃসংযোগ পেয়েছে ১১০ বিঘা বোরো ক্ষেতে সেচ দেওয়া সেচ পাম্পটি।  

সেচ পাম্প মালিক মোক্তার আলী বাংলানিউজকে বলেন, বিনা কারণে বিচ্ছিন্ন করা সেচ পাম্পে সকালে পুনঃসংযোগ দিয়েছেন বিদ্যুতের লোকজন। সংযোগ পেলেও ঘুষের টাকা ফেরত পাইনি। কৃষকদের আন্দোলন আর বাংলানিউজের প্রতিবেদনে আমি পুনরায় সংযোগ পেয়েছি। ক্ষেতে পানি দিচ্ছি। চাষিরাও খুশি। তবে সংযোগ পেলেও ১৪ দিন পানিহীন বোরো ক্ষেতের যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ চাই। এজন্য ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।  
আরও পড়ুন: 
সেই বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর দাবি কৃষকদের
ঘুষ দিয়েও মেলেনি বিদ্যুৎ, সেচের অভাবে বোরো ক্ষেত চৌচির

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।