ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

চাকরিপ্রত্যাশীদের টার্গেট করে লাখ লাখ টাকা লুট!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
চাকরিপ্রত্যাশীদের টার্গেট করে লাখ লাখ টাকা লুট!

ঢাকা: সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শামীম হোসেন, রেবেকা সুলতানা, মো. ওমর ফারুক, শহিদুল ইসলাম, মো. ইমরান, শরীফুল ইসলাম, আল আমিন, কাজী হাবিব, মাহাবুবুর রহমান ওরফে সরোয়ার, রুবেল শেখ, আব্দুল মতিন, সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, রফিকুল ইসলাম খোকা।

বুধবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের নগদ ৮৪ হাজার ৪০০ টাকাসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত জানান, চক্রটি রাজধানীর পল্লবীতে অফিস স্থাপন করে দেশের বিভিন্ন এলাকার চাকরিপ্রত্যাশীদের টাকার বিনিময়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে নিয়োগের কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। চক্রটির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪০-৫০ জন। তাদের বড় একটি অংশ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে।

চক্রের প্রাথমিক স্তরের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে চাকরির আশ্বাস দিয়ে তরুণদের প্রলুব্ধ করত। গ্রামের সহজ-সরল চাকরিপ্রত্যাশী তরুণরা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে জমি-জমা বিক্রি ও ধার করে টাকা জোগাড় করে ঢাকায় আসতো।

ঢাকায় আসার পর চক্রের দ্বিতীয় স্তরের সদস্যরা বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে তাদের নিয়োগপত্রসহ আনুষঙ্গিক নথিপত্র সরবরাহ করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিভিন্ন এলাকার কমিউনিটি সেন্টারে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করিয়ে তাদের বলতেন প্রশিক্ষণ চলছে।

তৃতীয় স্তরের সদস্যরা বিভিন্ন কার্যক্রমে নিজেদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন। ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস অর্জনসহ সকলের সঙ্গে সমন্বয় এবং কমিশন বণ্টনের দায়িত্ব পালন করতেন তারা।

প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতারক চক্রটির প্রাথমিক স্তরের ২০-২৫ জন সদস্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় স্তরে ১০-১৫ জন ও তৃতীয় স্তরে ৫-৬ জন রয়েছেন। ৪০-৫০ জনের এ প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অভিনব বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে প্রতারণামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।