ফেনী: সময়টা শৈশবের দুরন্তপনার। সবে পড়ালেখার বয়স হলো।
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মো. ইয়াসিনের মেয়ে আয়েশা।
মো. ইয়াসিন জানান, দুই বছর আগে হঠাৎ বমি করে রাস্তায় পড়ে যায় আয়েশা। সেখান থেকে নেওয়া হয় ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে। ৭ দিন চিকিৎসার পরও কোনও উন্নতি না হওয়ায় স্থানান্তর করা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ধরা পড়ে মাথার পেছনে একটি টিউমার। যথারীতি সে টিউমারের অপারেশন হয়। কিন্তু বিপত্তি দেখা দেয় কিছুদিন পরই। এমআরই পরীক্ষার পর জনা যায় তার ব্রেইন ক্যানসার। ১৬টি কেমোথেরাপি দেওয়া গেলে আয়েশা সুস্থ হয়ে ফেরার সম্ভাবনা আছে।
ইয়াসিন জানান, মেয়ের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পড়ে থাকায় তার ছোট চাকরিটিও চলে যায়। শেষে উপায়ান্তর না পেয়ে মানুষের সহায়তা ও ভিটের একটি অংশ বিক্রি করে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন। ১০টি কেমো দিয়েছেন আর ৬টি কেমো দিতে পারছেন না। কেমো না দেওয়ায় মেয়ে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ক্যানসার শরীরে বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ছে, আগে একটু হাঁটাচলা করতে পারলেও মেয়েটা এখন বিছানা থেকে উঠতেই পারে না।
এ অবস্থায় আয়েশার চিকিৎসার জন্য দরকার আরো ২ লাখ টাকা। গরিব বাবা ইয়াসিন অনেক কষ্টে এতদিন চিকিৎসা চালিয়ে নিলেও আর পারছেন না। ধীরে ধীরে মেয়েটি এগিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর দিকে। মেয়ের কষ্ট সহ্য করতে পারছেন না মা-বাবা। সমাজের বিত্তবান ও মানবিক মানুষগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েছেন তারা।
আয়েশাকে সহায়তা করতে পারেন- ০১৮১২- ৯৪৬৮৮৯ (বিকাশ পারসোনাল) যোগাযোগ- ০১৮১৪-৫২৮৬২৫ আয়েশার বাবা ইয়াসিন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
এএটি