ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে খুলনায় মুক্তির উৎসব-সুবর্ণজয়ন্তী মেলা উদ্বোধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে খুলনায় মুক্তির উৎসব-সুবর্ণজয়ন্তী মেলা উদ্বোধন

খুলনা: খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়।

এবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে সাত দিনব্যাপী মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলা আয়োজন করা হয়েছে।


 
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় মেলার উদ্বোধন করেন। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সেবাগুলো তুলে ধরতে মেলায় বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি ১১০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।

মেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের নিয়ে কেক কাটার পর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম মিরাজুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির ও  সরদার মাহবুবার রহমান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।

সভা শেষে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে ৫০টি জাতীয় পতাকা সম্বলিত সুবর্ণজয়ন্তী র‌্যালি খুলনার নয়টি উপজেলা প্রদক্ষিণের উদ্দেশে বের হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সুবর্ণজয়ন্তী র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সুসজ্জিত তিনটি ট্রাকে করে বিভিন্ন উপজেলা প্রদক্ষিণ শেষে ২৩ মার্চ মেলা প্রাঙ্গণে এসে র‌্যালি শেষ করবেন। ওই দিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

এর আগে সকাল আটটায় বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা ও মহানগর কমান্ড, কেসিসির মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, কেএমপির পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, জেলা পরিষদ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, আওয়ামী লীগসহ স্কুল-কলেজ, পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শিশু একাডেমির উদ্যোগে শিশুদের অংশগ্রহণে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের আদর্শকে ধারণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নাটক মঞ্চায়ন করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের চিন্তা-চেতনায় প্রতিফলনের লক্ষ্যে স্কুলে শিশুদের নিয়ে অনুপ্রেরণামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে  হাসপাতাল, কারাগার, শিশু পরিবার ও এতিমখানায় বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। বাদ যোহর বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।  

সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মুজিববর্ষ উদযাপনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনাগুলো সজ্জিতকরণ এবং মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়।

খুলনা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্নস্থানে বড় আকারের এলইডি স্ক্রিনে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ওপর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সপ্তাহব্যাপী জেলা ও উপজেলাগুলোতে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই প্রদর্শনী এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।