ঢাকা: সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের পর বাতিল হওয়া মো. আমির হামজার কর্ম নিয়ে যারা ভুল তথ্য দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার।
জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক শনিবার (১৯ মার্চ) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় যারা ভুল তথ্য দিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে জড়িতদের শোকজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে।
আর তাকে কেন পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হলো, সে বিষয়ে ব্যাখা চাইতে কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
গত ১৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১০ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত মনোনীত করে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমির হামজাকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সাহিত্য অঙ্গনে তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
এসব বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে শুক্রবার (১৮ মার্চ) স্বাধীনতা পুরস্কারের নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে আমির হামজার নাম বাদ পড়ে যায়।
স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েও তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নজির এর আগে দেখা গেছে। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০০০ সালে একজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল।
ওই বছর সাহিত্যে রইজ উদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার মখে তার নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আরও পড়ুন:
সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার: আমির হামজাকে নিয়ে শোরগোল
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২২
এমআইএইচ/এমজেএফ