জয়পুরহাট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুব আলম আদরকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
কারণ তার মাথার পেছনে গভীর ক্ষত ছিল।
পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজের আলী মোবাইলফোনে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এখন তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাহবুবের মৃত্যু নিয়ে পরিবারের সন্দেহ আরও দানা বাঁধে ফেসবুকের স্টোরিতে দেওয়া তার সর্বশেষ পোস্টটি নিয়ে। পোস্টে রাতের ছবিতে মাহবুব ট্রেনের ছাদের ওপরে বসেছিলেন এবং একটি ছবিতে মাহবুবসহ দুইজন রয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রেনের ছাদে থেকে দেওয়া পোস্টে লেখা ছিল, ‘অফ টু কুষ্টিয়া। কঠিন তবু আনন্দঘন, মাঝপথে জুটেছিল, অপরিচিত সঙ্গী। ’ পোস্টের ছবিতে অপরিচিত এক ছেলে রয়েছে।
মাহবুবের সহপাঠী এমরান হোসেন বলেন, ‘গত ১৩ মার্চ মাহবুব আমাকেও কুষ্টিয়া বেড়ানোর কথা বলেছিল। কিন্তু পরীক্ষার কারণে যেতে না চাইলে ৫শ টাকা চেয়ে নেয়। তারপর আর যোগাযোগ হয়নি। ’
মাহবুবের বাবা জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী হিমাদ্রিপাড়ার আব্দুল হান্নান মিঠু বলেন, ‘আমার ছেলে ট্রেন থেকে পড়ে মারা যায়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথার পেছনে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে আঘাত করার মতো ক্ষত ছিল। ট্রেন থেকে পড়লে তার দেহ ক্ষতবিক্ষত হওয়ার কথা। তার শরীরের আর কোথাও ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়নি। ’
এর আগে, মাহবুবের মরদেহ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে হার্ডিঞ্জ রেল সেতু থেকে উদ্ধার করে পোড়াদহ জিআরপি থানা পুলিশ। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মরদেহ ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুর ১২টায় গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
এদিকে মাহবুবের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত দাবি করেছেন জয়পুরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট ও স্থানীয় বটতলী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া সরদারসহ অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
এএটি