বরগুনা: বরগুনার তালতলীতে মোমেপাড়া গ্রামে রাখাইন জনগোষ্ঠীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
ওই জমিতে নজরুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে সীমানা নির্ধারণ করেন।
এ বিষয়ে মোমেপাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব জয়নাল ফকির বলেন, ২০০৭ সালের বন্যয় আবাসনটি ধ্বংস হলে ওখানে কেউ না থাকায় মালামাল চুরি হওয়ায় এখন আর কেউ থাকে না। বৃটিশ সরকারের সময় এখানে রাখাইনরা বসবাস করলেও এখন আর কোনো রাখাইন এখানে বসবাস করেন না। কিন্তু এখানে তাদের চিতা (শ্মশান) ছিলো এখন সেই চিতা (শ্মশান) জমি নজরুল ক্ষমতার জোরে দখল করেছে।
এ ব্যাপারে তালতলী উপজেলা রাখাইন সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মি. মংচিন থান বাংলানিউজকে জানান, আমাদের অনেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি চলে যাওয়ায় শ্মশান গুলো রক্ষণাবেক্ষণ করার মত কেউ না থাকায় ভূমিদস্যুরা এগুলো এখন দখল করছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই আমাদের শ্মশান আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
স্থানীয় কামাল হাওলাদার জানান, সরকারি আবাসন ছিল লোকজন না থাকায় রড টিন সব চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন শুধু খুটি গুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে। আবাসনের জমি দখলের জন্য এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটেছে নজরুল ইসলাম।
অভিযুক্ত দখলদার নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, এই জমি আমি তালতলী উপজেলা ভূমি অফিস থেকে আমি বন্দোবস্ত নিয়েছি। আর সরকারি আবাসনের জমি আমি দখল করিনি।
বড়বগী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন জানান, দখলের খবর পেয়েছি। সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাওছার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রোববার সকালে স্থানীয় তহশিলদার ও বন বিভাগের লোকজনকে সরেজমিনে পাঠানো হবে। ওটা যদি সরকারি জমি অথবা রাখাইনদের শ্মশান হয় তাহলে অবৈধ দখলমুক্ত করতে দ্রত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
এনটি