রাজশাহী: রাজশাহীর নিউমার্কেটে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত রিয়াজুল ইসলামের (২৩) মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে বিক্ষোভ থেকে এ ঘটনায় জড়িত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানানো হয়েছে।
এ বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকেও এলাকাবাসী আসামিদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেন।
এছাড়া শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী অভিযুক্তদের ছবি সম্বলিত পোস্টারও সাঁটিয়েছেন আজ। এর আগে মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে নিহত রিয়াজুলের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রিয়াজুলের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত রিয়াজুলের বাবা মহানগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকার মধু মিয়া বাদী হয়ে এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ তারা হলেন- মহানগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকার সাঈদ শেখের ছেলে রানা শেখ (৩০) ও রনি শেখ (২৬), রতনের ছেলে নাঈম (২৬), গৌরহাঙ্গা এলাকার আনুর ছেলে রিমন (২৪) ও দড়িখড়বনা এলাকার হাসুর ছেলে নাঈম (৩৫)। এর মধ্যে ঘটনার পর মহানগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকার নাঈমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া অজ্ঞতা হিসেবে আরও ৭ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে বিকেল পর্যন্ত অন্য কাউকে আর গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে সোমবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আধিপত্য বিস্তার ও নিউমার্কেটের সামনের ফুটপাত দখলকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নিহত হন সেন্ডেল ব্যবসায়ীর রিয়াজুল ইসলাম। এ ঘটনায় নিহত রিয়াজুলের ভাই রিংকুও আহত হয়েছেন। তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিউমার্কেটের পাশেই থাকা ষষ্ঠীতলা এলাকার রিয়াজুল ও তার ভাই রিংকু ফুটপাতে স্যান্ডেলের দোকান চালাতেন। তাঁতীলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে রানা ও রনি এই দুই ভাইকে কিছু দিন থেকে তাদের ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদ করে তা দখলের চেষ্টা করছিলেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই সোমবার রাতে স্যান্ডেলের দোকানে গিয়ে রিয়াজুল ও রিংকুর ওপর হামলা করা হয়। এতে আহত হয় রিয়াজুল ও তার ভাই রিংকু। তাদেরকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াজুলকে মৃত ঘোষণা করেন। ছুরিকাঘাতে আহত রিংকু এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রানা ও রনি দখলের জন্য ফুটপাত থেকে দুই ভাইয়ের দোকান উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছিল। আধিপত্য বিস্তার ও নিউমার্কেট ফুটপাত থেকে দোকান উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে।
বোয়ালিয়া থানার ওসির দাবি, সোমবার রাতে হামলার সময় সরাসরি জড়িত ছিল নাঈম। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যরা ঘটনার পরই পালিয়ে গেছেন। তবে, সব আসামিকেই গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
এসএস/এএটি