ঢাকা: গত এক বছরে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যয় ২২ থেকে ৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এর ব্যয়ও বেড়েছে। এমন অবস্থায় বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা নির্মাণ বরাদ্দে মূল্য সংযোজনের দাবি জানিয়েছে এ সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদারদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই)।
বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।
এ সময় সংগঠনের সাবেক সভাপতি শেখ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামোসহ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সহায়ক হিসেবে বিএসিআইর সদস্যরা বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন করে আসছে। গত এক বছর ধরে রড, সিমেন্ট, পাথর, ইট, বিটুমিন, ডিজেল, অ্যালুমিনিয়াম, বিল্ডিং ফিনিসিং আইটেমসহ প্রায় সব সামগ্রীর দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে। কিন্তু জিওবি ফান্ডের সব কাজ ‘ফিক্সড রেট' অনুযায়ী কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সব সামগ্রীর দাম বাড়লেও সরকার থেকে কোনো ধরনের মূল্য সমন্বয় করা হয় না। ’
গত এক বছরে দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতি টন রডে দাম ৬১ শতাংশ, ব্যাগ প্রতি সিমেন্টে ২২ শতাংশ, পাথর প্রতি ঘণফুট ২৪ শতাংশ, ইট প্রতি হাজারে ২২ শতাংশ, মোটা বালু প্রতি ঘনফুটে ৫০ শতাংশ, বিটুমিন প্রতি টন ৩৮ শতাংশ, ইলেক্ট্রিক ক্যাবল কয়েল প্রতি দাম ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। ’
সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির ৩৫ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জিডিপিতে নির্মাণ শিল্পের অবদান এখন ১২-১৪ শতাংশ। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের এক কোটির বেশি মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দাম বাড়ার কারণে দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পেন কাজ এখন প্রায় বন্ধ। ঠিকাদাররা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে, সেই কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই চলমান কাজগুলো যেহেতু ‘ফিক্সড রেট কন্ট্রাক্ট' অনুযায়ী সম্পাদিত হচ্ছে, তাই বিশেষ ব্যবস্থায় প্রজ্ঞাপন জারি করে পিপিআরের ফর্মুলা অনুযায়ী 'প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট' ধারা চুক্তিতে অন্তুর্ভুক্তির দাবি জানায় সংগঠনটি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
পিএম/এএটি